প্রতীকী ছবি।
শিশু পাচার কাণ্ডে এ বার নাম জড়াল দিল্লির সেন্ট্রাল ওয়েলফেয়ার বোর্ডের এক কর্তার৷ অভিযোগ, দত্তক দেওয়ার আইনকে সম্পুর্ণ বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বোর্ডের ওই কর্তা হুগলির চন্দননগরের এক দম্পতিকে একটি শিশু দত্তক দেওয়ার জন্য চন্দনা চক্রবর্তীকে সুপারিশ করেন৷ সেই সুপারিশ মেনেই চন্দনা একটি শিশুকে ওই দম্পতির হাতে তুলে দেয়৷
জানা গিয়েছে, হুগলির চন্দননগরে সম্প্রতি ওই শিশুটির খোঁজ পেয়েছে সিআইডি৷ দিন দুয়েক আগে ওই শিশুটিকে জলপাইগুড়ি সিডব্লিউসি-তে হাজির করানো হয়৷ এরপর এ দিন ওই শিশুকে দত্তক দেওয়ার সমস্ত কাগজ-পত্র পরীক্ষা করতে গিয়ে সিডব্লিউসি-র কর্তাদের সামনে আসে গোটা ঘটনাটি।
সিডব্লিউসি সূত্রের খবর, ২০১৫ সালের ২ জানুয়ারি অশোক স্তম্ভের ছাপ দেওয়া প্যাডে সেন্ট্রাল সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার বোর্ডের এক সহকারী প্রজেক্ট অফিসার চন্দনা চক্রবর্তীকে একটি চিঠি দেন৷ ওই চিঠিতে চন্দননগরের এক দম্পতির নাম উল্লেখ করে তিনি তাদেরকে একটি শিশু দত্তক দেওয়ার জন্য চন্দনাকে সুপারিশ করেন৷ যে সুপারিশ অনুযায়ী চন্দনা ওই বছরের মার্চ মাসে তার হোমে থাকা একটি শিশু ওই দম্পতির হাতে তুলে দেন৷ সম্প্রতি তার খোঁজ পেয়েছে সিআইডি৷
সিডব্লিউসি-র এক কর্তা বলেন, ‘‘এ ভাবে কারও সুপারিশে কোনও শিশুকে দত্তক দেওয়া যায় না৷ বিষয়টি নিয়ে সিডব্লিউসি-কে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রাখা হয়েছিল৷ তাই আমরা এ দিনই গোটা বিষয়টি সিআইডিকে জানিয়েছি৷’’
২০১৫ সালের মাঝামাঝি সিডব্লিউসি-র নতুন কমিটি গঠনের পরই চন্দনার হোম থেকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে দত্তকের বিষয়টি সামনে আসে। চন্দনা তার হোম থেকে সতেরোটি শিশুকে বেআইনিভাবে দত্তক দিয়েছে বলে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে অভিযোগ জানান সিডব্লিউসি-র কর্তারা৷ ২০১৬ র ডিসেম্বর মাসে ঘটনার তদন্ত শুরু করে জেলা প্রশাসন৷ পরের বছর জানুয়ারি মাসে তদন্তভার সিআইডিকে দেওয়া হয়৷ ফেব্রুয়ারি মাস থেকে চন্দনা সহ এই ঘটনায় অভিযুক্তরা একে একে সিআইডির হাতে গ্রেফতার হন। যার মধ্যে রয়েছেন বিজেপির মহিলা নেত্রী জুহি চৌধুরীও। নাম জড়ায় বিজেপির শীর্ষ দুই নেতা-নেত্রীর৷
সিআইডির জেরার মুখে পড়তে হয়েছিল জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিককেও৷ আর এ বার নাম জড়াল সেন্ট্রাল সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার বোর্ডেরও৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy