Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

আলাদা মেডিসিন বিভাগের দাবি

হাসপাতালের বিভিন্ন ঘর ফাঁকা পড়ে থাকলেও শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর্মী ও সাফাই কর্মীর সঙ্কটে বাড়তি ওয়ার্ড খোলা সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের। তাঁদের দাবি, মেডিক্যালে স্বাস্থ্য ও সাফাই কর্মীর শূন্যপদের রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরে

অসহায়: মালদহ মেডিক্যালে রোগীরা। নিজস্ব চিত্র

অসহায়: মালদহ মেডিক্যালে রোগীরা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৭ ০৬:৫০
Share: Save:

এক শয্যায় দু’জন। বিছানা পাতার জায়গা নেই মেঝেতেও। তাই ওয়ার্ডের বারান্দায় রোগীদের রেখে চলছে চিকিৎসা। রোগীর ভিড়ে কার্যত পা ফেলার জায়গা নেই মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলাদের মেডিসিন বিভাগে। তাই বাড়তি মেডিসিন বিভাগের দাবি তুলেছেন রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা।

হাসপাতালের বিভিন্ন ঘর ফাঁকা পড়ে থাকলেও শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর্মী ও সাফাই কর্মীর সঙ্কটে বাড়তি ওয়ার্ড খোলা সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের। তাঁদের দাবি, মেডিক্যালে স্বাস্থ্য ও সাফাই কর্মীর শূন্যপদের রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরে। একই সঙ্গে অস্থায়ী ভাবে নিয়োগের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছেও আবেদন করা হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের সুপার অমিতকুমার দাঁ। তিনি বলেন, “একটি ওয়ার্ড খুলতে গেলে চিকিৎসক, নার্সদের পাশাপাশি প্রয়োজন স্বাস্থ্য ও সাফাই কর্মী। চিকিৎসক, নার্স থাকলেও স্বাস্থ্যকর্মী ও সাফাইকর্মীর সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক।”

মেডিক্যালের পুরুষ মেডিসিন বিভাগে ৭৫টি এবং মহিলা মেডিসিন বিভাগে ৬০টি শয্যা রয়েছে। এ ছাড়া দুই ওয়ার্ডের ভেতরের বারান্দায় আরও দশটি করে শয্যা বসানো হয়েছে রোগীদের। এ দিন পর্যন্ত দুই ওয়ার্ডে ভর্তি ৫২০ জন রোগী। একটি শয্যায় দুজন করে দেওয়ার পরেও রোগীদের ভিড় উপচে পড়ছে। তাই ওয়ার্ডগুলি মেঝেতে, বারান্দায় বিছানার চাদর, তোশক পেতে রোগীদের চিকিৎসা করছেন চিকিৎসকেরা। রোগীদের ভিড়ে স্যালাইন রাখার স্ট্যান্ড নেই। লম্বা করে দড়ি বেঁধে স্যালাইন ঝোলানো হচ্ছে। কালিয়াচকের সুজাপুরের বাসিন্দা সালমা বিবি বলেন, “জ্বরে আক্রান্ত স্বামীকে চারদিন ধরে হাসপাতালের বারান্দায় ফেলে রাখা হয়েছে। রোগীর উপরে পা দিয়ে চলাচল করা হচ্ছে”। হাসপাতালের ছবি দেখে আঁতকে উঠেছেন হবিবপুরের বাসিন্দা সুশান্ত সাহা। তিনি বলেন, “আমার বোনের জ্বর হওয়ায় চিকিৎসক ভর্তি হতে বলেছেন। ওয়ার্ডের কোথায় বোনকে রাখব তা বুঝতেই পারছি না।” তাই মেডিসিন বিভাগ চালুর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

হাসপাতালে ১৪৫ জন চিকিৎসক রয়েছে। রয়েছেন হাউসস্টাফেরাও। নার্স ৩৪০ জন। তবে শূন্যপদ রয়েছে স্বাস্থ্যকর্মী ও সাফাইকর্মী পদে। ৭৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী থাকলেও প্রয়োজন আরও ১২৫ জন। এ ছাড়া ৫৬ জন সাফাইকর্মী থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন মাত্র ২৭ জন। রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা জেলা শাসক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, “বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Medicine Department Hospital Fever
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE