Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪

নিয়ম মেনেই ব্যতিক্রমী স্কুল

যাওয়া আর আসা। এই যখন বেশির ভাগ প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নানা মহলের নানা অভিযোগ, ঠিক তার উল্টো পথে চলছেন বীরপাড়ার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্কুলে আসেন।

আনন্দে: মিডডে মিল খেতে ব্যস্ত সুভাষপল্লির পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র

আনন্দে: মিডডে মিল খেতে ব্যস্ত সুভাষপল্লির পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বীরপাড়া শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৭ ০২:৫৮
Share: Save:

যাওয়া আর আসা। এই যখন বেশির ভাগ প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নানা মহলের নানা অভিযোগ, ঠিক তার উল্টো পথে চলছেন বীরপাড়ার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্কুলে আসেন। বিকেল চারটে পর্যন্ত স্কুল হয় রোজ। বীরপাড়ার কলেজ লাগোয়া সুভাষপল্লি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই নিয়ম চলছে ২০০৬ সাল থেকে। স্কুলে কেউ ২৩ কিলোমিটার দূর ফালাকাটা বা কেউ ১৫ কিলোমিটার দূর বানারহাট থেকে এলেও নিয়মের হেরফের হয় না। স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া পাপড়ি দেবনাথ ও তৃতীয় শ্রেনির রূপক চক্রবর্তীরা জানায়, স্কুলে নিয়মিত দুপুরের খাবার খেয়ে ফের পড়াশোনা শুরু হয়।

এলাকার বাসিন্দারাও সময় মেনে স্কুল চলার কথা স্বীকার করেন। নিয়মের ঘেরাটোপে চলেও স্কুলের পরিকাঠামো নিয়ে আক্ষেপ প্রধান শিক্ষকের। স্কুলে পড়ুয়াদের বসবার পর্যাপ্ত বেঞ্চ নেই। প্রায় সব পড়ুয়া স্কুলে এলে, মেঝেতেই বসে পড়াশোনা করতে হয় কিছু পড়ুয়াকে। স্কুলের পড়ুয়ার সংখ্যা ৯৫ জন। স্কুলের সীমানা প্রাচীর না থাকায় দিনের বেলায় গরু-ছাগল ঢুকে বারান্দা নোংরা করে।

সেই সঙ্গে, সন্ধ্যার পর সমাজবিরোধীরা স্কুল চত্বরে ঢুকে অসামাজিক কাজ করে বলে অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের। পড়ুয়াদের খেলার মাঠ নেই। স্কুলের সামনে কুড়ি-পঁচিশ মিটার ফাঁকা জায়গা, তাতেই পড়ুয়ারা দৌড়ঝাঁপ করে। স্কুলের মোট পাঁচ জন শিক্ষক শিক্ষিকা। স্কুলের এক শিক্ষক প্রকাশ সাহা বলেন, “সময় ও নিয়ম মেনে চলি বলে আমার কোনও আক্ষেপ নেই। কিন্তু এর জন্য বন্ধুদের কাছ থেকে নানা ব্যঙ্গ শুনতে হয়। চারটেয় ছুটি হলে বাড়ি যেতে দেরি হয় বলে ওরা আমায় জিজ্ঞেস করে, আমি কি হাইস্কুলে চাকরি করি না কি, যে আসতে এত দেরি হয়?’’ স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভাস্কর বসাক বলেন, “সহ শিক্ষক-শিক্ষিকারা সহযোগিতা হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় ২০০৬ সাল থেকেই শিক্ষা দফতরের নির্দিষ্ট সময় সারণি মেনেই স্কুল চালাতে পারছি। তবে স্কুলের বেঞ্চ কম, সীমানা প্রাচীর,মাঠ না থাকায় পরিকাঠামো গত কিছু সমস্যায় ভুগছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE