Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

শিক্ষা সংসদ সাসপেন্ড করল চন্দনাকে

চন্দনা চক্রবর্তীকে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকার পদ থেকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিল জলপাইগুড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ৷ এ দিনই সংসদের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান ধর্তিমোহন রায়৷ চেয়ারম্যান জানান, বুধবারই তাঁকে সাসপেন্ড করা হবে৷

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৫৬
Share: Save:

চন্দনা চক্রবর্তীকে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকার পদ থেকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিল জলপাইগুড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ৷ এ দিনই সংসদের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান ধর্তিমোহন রায়৷ চেয়ারম্যান জানান, বুধবারই তাঁকে সাসপেন্ড করা হবে৷

১৯৯৭ সাল থেকে ময়নাগুড়ির আনন্দনগর নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি করছেন চন্দনা৷ ২০১০ সালে তৎকালীন প্রধান শিক্ষিকার অবসরের পর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা হিসাবে কাজ শুরু করেন তিনি৷ ২০১৪ সালে ওই স্কুলেই পাকাপাকিভাবে প্রধান শিক্ষিকা হন তিনি৷ কিন্তু গত শনিবার শিশু পাচারের অভিযোগে চন্দনাকে গ্রেফতার করে সিআইডি৷ সূত্রের খবর, বিভিন্ন মাধ্যমে সেই খবর কানে আসার পর সোমবার ময়নাগুড়ির অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সেরিং ডি ভুটিয়া চন্দনা গ্রেফতার হয়েছে কি না, তা জেলা পুলিশের কাছে জানতে চান৷ পুলিশ সূত্রের খবর, এদিনই পুলিশ কর্তারা তাঁকে পাল্টা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, চন্দনা শনিবার সিআইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়েছে৷ তারপর থেকে সে হেফাজতে রয়েছে৷

ধর্তিমোহনবাবু বলেন, ‘‘পুলিশের থেকে আমরা চিঠির উত্তর পেয়ে গিয়েছি৷ তারপরই তাঁকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ এই মুহুর্তে আমি কলকাতায় রয়েছি৷ বুধবার জলপাইগুড়ি ফিরবো৷ এবং বুধবারই চন্দনা চক্রবর্তীকে সাসপেন্ড করা হবে৷’’

চন্দনাকে যে কোনও দিন এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে, তা ভাবতে পারছেন না তাঁর পাড়ার লোকেরাও৷ প্রতিদিনই বেলার দিকে কেরানিপাড়ার বাড়ি থেকে সাদা গাড়িতে চেপে বের হতেন তিনি৷ বাড়ির ভিতরটাও বেশ ঝাঁ চকচকে৷ কেরানিপাড়ায় নর্থ বেঙ্গল পিপল্‌স ডেভলপমেন্ট সেন্টারের শিশুদের জন্য যে হোমটি রয়েছে, সেটাই তাঁর বাড়ি৷ বাড়ির নীচতলাটি হোম হিসাবে ব্যবহৃত হতো৷ আর উপর তলায় স্বামীর সঙ্গে থাকতেন চন্দনা৷ যেখানে কোন ঘরের মেঝেতে টাইলস তো কোনও ঘরের মেঝেতে সাদা মার্বেল পাথর বসানো৷ বাড়িতে রয়েছে দু’টি অ্যালসেশিয়ান কুকুর৷ রয়েছে দু’টি অ্যাকুয়ারিয়াম৷

শনিবার গ্রেফতারের পর কিন্তু জীবন পাল্টে গিয়েছে চন্দনার৷ প্রথম রাত জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় রাখা হয়েছিল তাঁকে৷ পরদিন থেকে কোতোয়ালি থানা চত্বরেই থাকা মহিলা থানার পুলিশ লক আপে৷ মেঝেতে কম্বলে শুয়ে রাত কাটাতে হচ্ছে তাঁকে৷ সঙ্গী সোনালী মণ্ডল৷

মশার হাত থেকে বাঁচতে লক আপের বাইরে রাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় মশা মারার কয়েল৷ সব সময়ের জন্য দুজন পুলিশ কর্মী তার দিকে কড়া নজর রেখে চলেছেন৷

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাড়িতে যখনই ঘুম থেকে উঠুন না কেন গত কয়েকদিন সকাল সকালই ঘুম ভেঙে যাচ্ছে চন্দনার৷ তারপর চা খাচ্ছেন৷ দুপুরে ভাত-ডাল-তরকারি৷

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Chandana Chakraborty Education Parliament
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE