মেঝেতে পরীক্ষা আয়োজনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গড়তে চলেছে গৌরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে শনিবার দুপুরে মালদহ কলেজ পরিদর্শন করে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল। কলেজের সাইকেল স্ট্যান্ড ও বারান্দাও ঘুরে দেখেন তাঁরা। তদন্তে কলেজ কর্তৃপক্ষের গাফিলতি প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
পার্থবাবু বলেন, ‘‘আমি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ফোন করেছিলাম। তিনি মালদহ কলেজের উপর দায় চাপিয়েছেন। আমি বলেছি, শেষ পর্যন্ত ভুগতে হয়েছে পড়ুয়াদের। আপনার সেখানেই ব্যর্থতা।’’
এ দিন উপাচার্য গোপাল মিশ্র বলেন, ‘‘পরীক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে শীঘ্রই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। সেই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। আগামী দিনের পরীক্ষাগুলি যাতে সুষ্ঠ ভাবে নেওয়া হয়, তার জন্যই এ দিন প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে।’’
শুক্রবার, মালদহ কলেজের প্রথম বর্ষের বাংলা পরীক্ষা নিয়ে চরম অব্যবস্থার অভিযোগ উঠেছিল। কলেজের বারান্দায়, সাইকেল স্ট্যান্ডে এবং মেঝেতে ছাত্র-ছাত্রীদের বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এমনকী, একটি বেঞ্চে পাঁচ জন করে পরীক্ষার্থীকে বসানো হয়েছিল ওই দিন। যা প্রকাশ্যে আসতেই বির্তকের মুখে পড়ে যায় কলেজ কর্তৃপক্ষ। যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, মোট ৭০০ টি বেঞ্চ রয়েছে কলেজে। একটি বেঞ্চে দু’জন করে হলে ১৪০০ বেশি পরীক্ষার্থীকে বসানো সম্ভব হত না। কিন্তু পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় চার হাজার। বিষয়টি নিয়ে কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে টানাপড়েনও চলছিল। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজকে আরও ২১৮টি বেঞ্চ দেয়।
তারপরেও কেন পরীক্ষা নিয়ে অব্যবস্থার অভিযোগ উঠলো তা খতিয়ে দেখতে কলেজে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজসমূহের পরিদর্শক অপূর্ব চক্রবতী। তিনি কলেজের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন। অপূর্ববাবু বলেন, ‘‘উপাচার্যের নির্দেশে আমি কলেজ পরিদর্শন করেছি। ’’
মেঝেতে বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়া ঠিক হয়নি বলে স্বীকার করে নেন মালদহ কলেজের অধ্যক্ষ উত্তম কুমার সরকারও। তিনি বলেন, ‘‘এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল কলেজের পরিকাঠামো দেখেছেন। সব রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy