Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
সিআইডি তথ্য চেয়ে পাঠানোর পরেই ধরা পড়ে গোলমাল

ফের ভুয়ো ডাক্তার গ্রেফতার উত্তরে

গ্রেফতার হওয়া ঠেকাতে মঙ্গলবারই চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন৷ স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের কাছে দোষ স্বীকার করার পাশাপাশি মুচলেকা দিয়ে জানিয়েছিলেন, মাইনে বাবদ যে অর্থ তিনি পেয়েছেন, তা কড়ায় গণ্ডায় মিটিয়ে দেবেন৷ তবুও শেষ রক্ষা হল না৷ ফের গ্রেফতার হল এক ভুয়ো চিকিৎসক৷

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ মে ২০১৭ ০২:৪১
Share: Save:

গ্রেফতার হওয়া ঠেকাতে মঙ্গলবারই চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন৷ স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের কাছে দোষ স্বীকার করার পাশাপাশি মুচলেকা দিয়ে জানিয়েছিলেন, মাইনে বাবদ যে অর্থ তিনি পেয়েছেন, তা কড়ায় গণ্ডায় মিটিয়ে দেবেন৷ তবুও শেষ রক্ষা হল না৷ ফের গ্রেফতার হল এক ভুয়ো চিকিৎসক৷

বুধবার বিকালে নাগরাকাটার ধূমপাড়া এলাকা থেকে ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করে বানারহাট থানার পুলিশ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত চিকিৎসকের নাম স্নেহাশিস চক্রবর্তী৷ বছর পঞ্চাশের ওই ব্যাক্তি ভুয়ো সার্টিফিকেট ও মার্কশিট দেখিয়ে প্রায় ছয় মাস ধরে ধূমপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মেডিক্যাল অফিসার হিসাবে কাজ করছিলেন৷ দু’দিন আগেই ভুয়ো ডিগ্রি দেখিয়ে তাঁর চাকরি করার বিষয়টি নজরে আসে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের৷ তারপর রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের নির্দেশে এ দিন দুপুরে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বানারহাট থানায় এফআইআর করেন নাগরাকাটার বিএমওএইচ শুভজিৎ হাওলাদার৷ যার প্রেক্ষিতে পুলিশ তাকে গ্রেফতরা করে৷

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল হেল্থ মিশনের অধীনে চুক্তির ভিত্তিতে ওই চিকিৎসককে নিয়োগ করা হয়৷ সূত্রের খবর, এই প্রকল্প গত এপ্রিল পর্যন্ত জলপাইগুড়ি জেলায় মোট দশ জন চিকিৎসককে নিয়োগ করা হয়৷ এই দশ জনের চাকরির ক্ষেত্রে প্রথমে কাগজপত্র জমা নেওয়া হয়৷ তারপর ইন্টারভিউতে যোগ্যতার নিরিখে নিয়োগ করা হয়৷ জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, স্নেহাশিসবাবুকে গত নভেম্বরের ৯ তারিখ ধূমপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়োগ করা হয়৷ যে ধূমপাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্র সবচেয়ে বেশি প্রসবের জন্য গত বছর রাজ্য সরকারের কাছ থেকে পুরস্কারও পেয়েছে৷

সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ থেকে দু’জন ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়। তারপরেই জেলা স্বাস্থ্য দফতরের থেকে ন্যাশনাল হেল্থ মিশনে নিয়োগ হওয়া দশ চিকিৎসকের তালিকা চায় সিআইডি৷ স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা সেই তালিকা সিআইডিকে পাঠিয়ে দেন৷ পাশাপাশি নিজেরাও চিকিৎসকদের ডিগ্রি যাচাই করতে শুরু করেন৷ জলপাইগুড়ির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকার জানান, তখনই ধরা পড়ে এক জনের শংসাপত্র জাল। তিনি বলেন, ‘‘ভাগলপুরের এমবিবিএসের যে সার্টিফিকেট ও মার্কশিট ওই ব্যাক্তি স্বাস্থ্য দফতরে জমা দিয়েছিলেন, তা দেখলে বোঝার উপায় নেই সেটি জাল৷ সার্টিফিকেট বা মার্কশিটে থাকা হলগ্রাম বা সিল দেখলে যে কেউ ভাববে সেটা আসল৷ কিন্তু তাঁর এমসিআই-এর যে রেজিস্ট্রেশন নম্বর রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতেই দেখা যায় ওই নম্বরের সঙ্গে তাঁর নাম মিলছে না৷’’

জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, ভুয়ো চিকিৎসক নিয়ে সিআইডি-র একটি মামলা রয়েছে৷ পাশাপাশি স্বাস্থ্য দফতরের এ দিনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Fake Doctor Arrest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE