Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

শান্ত রিপন জালনোট পাচার চক্রের চাঁই! অবাক গ্রাম

বছর তেইশের যুবকটিকে শান্ত স্বভাবের বলেই জানত গ্রামের মানুষ। রিপন শেখের গ্রেফতারের খবর তাই জোর ধাক্কা দিয়েছে মালদহের বাকছেরাপুর গ্রামকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:৩৯
Share: Save:

বছর তেইশের যুবকটিকে শান্ত স্বভাবের বলেই জানত গ্রামের মানুষ। রিপন শেখের গ্রেফতারের খবর তাই জোর ধাক্কা দিয়েছে মালদহের বাকছেরাপুর গ্রামকে। বৈষ্ণবনগর থানার এই গ্রামটি থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত মোটে আড়াই কিলোমিটার। অভিযোগ, সেই সীমান্ত দিয়ে আনারুল শেখ নামে বাংলাদেশের এক যুবককে এ দেশে ঢুকতে সাহায্য করেছিল রিপন। এবং তার হাত দিয়ে আট লক্ষ টাকার জাল নোট পাচার করেছিল বলেও অভিযোগ।

গ্রামবাসীদের অনেকেই বলছেন, ছোটবেলা থেকে রিপনকে দেখছেন তাঁরা। বাবা নুরুল ইসলাম চাষবাস করেন। রিপনরা তিন ভাই। রিপনই বড়। তিন ভাই-ই চাষের কাজে যুক্ত। গ্রামের কেউ কেউ জানালেন, সামর্থ ছিল না বলে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির বেশি পড়া হয়নি রিপনের। ঝগড়াঝাঁটি তো দূর, কোনও দিন তাকে জোর গলায় কথা বলতেও শোনেননি কেউ। গ্রামবাসীদের এখন অবাক প্রশ্ন, ‘‘এই রিপনই জাল নোট পাচার চক্রের বড় চাঁই? বিশ্বাসই হয় না!’’

তবে বছর দুয়েক ধরে রিপন ওরফে লিটন যে অচেনা লোকজনের সঙ্গে ঘুরছে, সেটা অনেকেই দেখেছেন। কিন্তু বিশেষ সন্দেহ হয়নি কারও। পাড়ার পড়শিরাও ভাবতে পারেননি, লিটনের মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছে জাল নোট পাচারকারীরা। শোনা যায়, আনারুলকে আট লক্ষ টাকার জাল নোট দিয়েছিল রিপন। এই টাকা ‘জায়গামতো’ পৌঁছে দেওয়ার জন্য দিয়েছিল পাঁচ হাজার টাকা। সম্প্রতি আনারুল ধরা পড়লে তাকে জেরা করে রিপনের কথা জানতে পারেন গোয়েন্দারা। তার পর থেকে শুরু হয় তল্লাশি। চাকরির নামে সে ঝাড়খণ্ডে গিয়েছিল। ফিরতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এনআইএ এক কর্তা বলেন, রিপনের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই মোবাইলের কল লিস্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তার কাছ থেকে কোন নথিপত্র পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, রিপনের সঙ্গে জঙ্গি যোগের সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Fake Notes
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE