ছবি: সংগৃহীত।
শিলিগুড়ি শহর জুড়ে সিটি অটোর একাংশের দৌরাত্ম্যের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন বাসিন্দারা। বেপরোয়া ভাবে চালানো, সাইকেলে-বাইকে ধাক্কা মারা, প্রতিবাদ করলে উল্টে লোক জুটিয়ে গোলমাল করার মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে চালকদের বিরুদ্ধে। তেমনই, গাড়ির নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ না করে কম পয়সায় চালক রেখে গাড়ি চালানোর অভিযোগ রয়েছে মালিকদের বিরুদ্ধেও। পুরসভা থেকে নাগরিক মঞ্চের তরফে পুজোর মুখে অটোর নিয়ন্ত্রণের দাবি তোলা হয়েছে। বহু বাসিন্দা আবার ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। যা শুনে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন খোদ পুলিশ কমিশনার নীরজ কুমার সিংহ।
শহরবাসীর অভিযোগ, রাস্তায় অটো-টোটো চালকদের গোলমাল হলেই কেবল ট্রাফিক পুলিশের দেখা মেলে। তা ছাড়া নিয়মিত কোনও গাড়িতে অভিযান হয় না। পুলিশের একাংশের দাবি, গাড়ি ধরলে কিছু ক্ষণের মধ্যে নাকি নানা মাপের নেতাদের ফোনও আসতে শুরু করে। বৃহস্পতিবারই পানিট্যাঙ্কি মোড় এবং বর্ধমান রোড এলাকার দুটি সিটি অটোর বিরুদ্ধে বেপরোয়া চালানোর অভিযোগ উঠেছে। বাইক আরোহীকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ট্রাফিক পুলিশ ও পরিবহণ দফতরের উদাসীনতায় এই হাল। চালক, মালিকেরা পার্টির ছায়ায় পালোয়ানি করে পার পেয়ে যাচ্ছেন।’’
মহকুমা জুড়ে ১৮১ টি বিভিন্ন রুটে ১২৫০টি সিটি অটো চলছে। আগে সংখ্যাটা আরও বেশি থাকলেও টোটোর দাপটে তা কমেছে। ৬ আসনের সিটি অটোতে হামেশাই ৮ / ১০ জনকে চাপাচাপি করে তোলা হয় বলে অভিযোগ। অনেক সময় চালকের পাশে কাঠের পাঠাতন বানিয়ে লোক তোলা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের সামনে দিনের পর দিন এমন চললেও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না, সেই প্রশ্ন সরব বাসিন্দারা।
বৃহত্তর শিলিগুড়ি নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক রতন বণিক বলেন, ‘‘সিটি অটোগুলির হাল দেখলে গা শিউরে ওঠে।’’ তিনি জানান, কোনওটার রং ঠিক নেই। বসার সিট ছেঁডা, লোহার পাত খুলে পড়ছে। সংগঠনের সম্পাদক নির্মল সরকার জানান, কিছু মালিক ও চালকদের জন্য সবাই বদনাম হয়।
চালকদের দৌরাত্ম্যের কথা পৌঁছেছে শাসক দলের অন্দরেও। দলের শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি অরূপরতন ঘোষ জানান, কিছু খবর আমরাও পাচ্ছি। দলের নাম ভাঙিয়ে দৌরাত্ম্য বরদাস্ত হবে না। পুলিশকে বলছি ব্যবস্থা নিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy