•লেলিহান: আগুন নেভানোর চেষ্টায় এক দমকলকর্মী। নিজস্ব চিত্র
ভয়াবহ আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল একটি কাঠ চেরাই কল-সহ একাধিক শোরুম, অফিস ঘর। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ ভক্তিনগর থানার ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের জ্যোতিনগরে আগুন লাগে। দমকলের সাতটি ইঞ্জিন প্রায় আট ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনাস্থলের পাশেই রয়েছে শিলিগুড়ি আইটিআই সহ একাধিক বহুতল, দোকান-সহ ঘন জনবসতি। তাতে যে কোনও বড় ঘটনা ঘটতে পারত বলে দমকলের আশঙ্কা। সঠিক অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছাড়াও বিরাট কমপ্লেক্সের ভিতরে ওই একাধিক কারখানাগুলি চলছিল বলে দমকলের অফিসারদের অভিযোগ। এলাকার বিধায়ক তথা পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখার জন্য অফিসারদের বলছি।’’
দমকলের অফিসারেরা জানান, প্রায় দু’ বিঘা জমিতে কাঠ চেরাই, আসবাব, বিছানার গদি, কাগজের জিনিসপত্র তৈরির কারখানা। কিছু অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র থাকলেও কোনও জল মজুত করা বা পাইপ লাইনের ব্যবস্থা নজরে আসেনি। বুধবার দুপুরে দু’টো নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। পাশের বহুতল ও সেবক রোডের একটি শপিং মল থেকে গাড়িতে জল আনার ব্যবস্থা করা হয়। শট সার্কিট থেকে আগুন বলে অনুমান করা হচ্ছে। খবর পেয়ে ভোরে এলাকায় পৌঁছান শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচা, দমকলের ডিভিশনাল ফায়ার অফিসার অশোক কুমার ভট্টাচার্য। পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘দমকল অভিযোগ করলে অবশ্যই মামলা করা হবে।’’ আর ডিভিশনাল ফায়ার অফিসার অশোকবাবু জানান, মালিকপক্ষকে নথিপত্র-সহ ডাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, চারটি কারখানা, সামনে একাধিক শোরুম। সবই দাহ্য পদার্থে বোঝাই। কাঠ, কার্টুন ছাড়াও আসবারের কাজ হওয়ায় নিশ্চয়ই রং বা স্পিরিট জাতীয় দাহ্য ছিল। দু’টি গেট থাকলেও ভিতরে গাড়ি ঘোরানোর জায়গা নেই। ক্রেন, মেশিন এনে সেগুলি ভাঙতে হয়েছে। শহরের মেয়র অশোক ভট্টচার্য বলেন, ‘‘কারখানাগুলি নিয়ম মেনে চলছিল কি না দেখতে হবে।’’
সংস্থার কাঠ মিলের কর্মী শিরীষ চন্দ বলেন, ‘‘কাঠমিলের পাশের বাড়িতে ঘুমাই। পোড়া গন্ধ টের পেয়ে বাইরে এসে আগুন দেখি।’’ তিন ভাইয়ের মালিকাধীন সংস্থার পক্ষে বিবেক গোয়েল বলেন, ‘‘অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা রয়েছে, সেগুলি কাজ করেনি। আমাদের নথিপত্র আছে, দমকলকে সব দেখাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy