জঙ্গলে পর্যটকদের বেড়ানোর সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।—ফাইল চিত্র।
বর্ষায় জঙ্গল বন্ধের মরসুমেও যাতে পর্যটকরা উত্তরবঙ্গের বনাঞ্চলের ‘বাফার জোন’ এ বেড়ানোর সুযোগ পান তার জন্য উদ্যোগী হল বন দফতর।
শুক্রবার কলকাতায় বিষয়টি নিয়ে দফতরের পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। প্রধান মুখ্য বনপাল, বন দফতরের সচিব এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই উত্তরবঙ্গের কোনও কোনও বনাঞ্চলের ‘বাফার জোন’ বা স্বল্প ঘনত্বের জঙ্গলে পর্যটকদের বেড়ানোর সুযোগ দেওয়া যেতে পারে সে ব্যাপারে সমীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন বনমন্ত্রী। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে জুলাই মাসের শুরুতেই এ জন্য সমীক্ষার কাজ শুরু হয়ে যাবে।
পাশাপাশি কোন কোন এলাকায় বন্যপ্রাণী ও পরিবেশের সমস্যা না করে ‘ওয়াচ টাওয়ার’ তৈরি করা যায় সেই তালিকাও করবেন তাঁরা। দফতরের এক আধিকারিক জানান, অনেক সময় বাফার জোনেও ঢুকে পড়ে বন্যপ্রাণীরা। সেক্ষেত্রে ওয়াচ টাওয়ার থেকে পর্যটকেরা বন্যপ্রাণী দেখার সুযোগও পেতে পারেন। রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “বন্যপ্রাণীদের সামান্যতম সমস্যা না করে ওই তিন মাস জঙ্গলের যতটুকু এলাকা সম্ভব সেখানে পর্যটকদের বেড়ানোর সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। শীঘ্র এ নিয়েসমীক্ষা হবে।”
দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, ১৫ জুন থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উত্তরবঙ্গজুড়ে জাতীয় উদ্যান, অভয়ারণ্য, সংরক্ষিত বনাঞ্চলে টানা তিন মাস পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ থাকে। বর্ষার মরসুমে বন্যপ্রাণীদের প্রজননের সময়ে যাতে সমস্যা না হয় সেজন্যই ওই নিয়ন্ত্রণ। ফলে জুন মাসেই ইতি পড়ে উত্তরের পর্যটন মরসুমে। পুজোর আগে ফের মরসুম শুরু হয়। দীর্ঘ দিন ধরেই ডুয়ার্সে মরসুমের সময়সীমা বাড়ানোর দাবি তুলেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। স্বাভাবিক ভাবেই ওই উদ্যোগে খুশি তাঁরা। ইস্টার্ন হিমালয়ান ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারের্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সম্রাট স্যানাল বলেন, “এতে বছরে পর্যটন মরসুমের সময়সীমা বাড়বে। এ ব্যাপারে আমরা সবরকম সহযোগিতা করব।’’ পরিবেশপ্রেমী সংস্থা ন্যাসগ্রুপের সম্পাদক অরূপ গুহ বলেন, “বাফার জোন নিয়ে আপত্তির ব্যাপার নেই। তবে কেউ যাতে অবাঞ্চিত কোনও সুযোগ নিয়ে কোর এলাকায় ঢুকে না পড়েন সেটা নিশ্চিত করা দরকার।”
তা ছাড়া এতে ‘মনসুন ট্যুরিজম’ ভাবনা উৎসাহ পাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy