—নিজস্ব চিত্র।
রাস্তার পাশের চায়ের দোকান ভেঙে যাওয়ায় কিছু দিন রিকশা চালাতে হয়েছিল। পরে আবার একটি চায়ের দোকান খুলে সেখানেই দিন রাত পরিশ্রম করছেন বাবা মা। ইসলামপুরের দেশবন্ধু পাড়ায় ঘর ভাড়া নিয়ে থাকে গোটা পরিবার। সমস্ত প্রতিকূলতাকে হারিয়ে মাধ্যমিকে প্রায় ৭৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছে ইসলামপুর বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী রঞ্জিতা রায়। মাধ্যমিকে তার প্রাপ্ত নম্বর ৫৫৯।
তিন বোনের মধ্যে সেই ছোট। মেয়েদের মুখ চেয়ে লড়াই জারি রেখেছেন রঞ্জিতার বাবা সতীশ রায় ও মা রানু রায়ও। কষ্ট হলেও মেয়েদের পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। রঞ্জিতার এক দিদি পদার্থ বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক হয়েছেন। এক দিদি পলিটেকনিকে ডিপ্লোমা পাশ করেছেন। বড় দিদির কাছেই সমস্ত বিষয় পড়ত সে। শুধু ইংরেজির জন্য টিউশন নেয়। বিজ্ঞান নিয়েই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চায় রঞ্জিতা। তার ইচ্ছা বড় হয়ে চিকিত্সক হওয়ার। রঞ্জিতার কথায়, ‘‘জানি বাবা মায়ের পড়াতে কষ্ট হবে। কিন্তু আমার ইচ্ছা চিকিত্সক হওয়ার।’’
ইসলামপুর বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জগদ্ধাত্রী সরকার বলেন, ‘‘কষ্ট হলেও মেয়েদের উচ্চশিক্ষিত করছেন রঞ্জিতার মা বাবা। ওদের সাধুবাদ জানাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy