আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়া এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে না পারায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ জেলা শিক্ষা দফতর কোনপাকরির বিবেকানন্দ হাইস্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চেয়েছে৷
নেতাজী বিদ্যাপীঠের ছাত্রী মৌ ভৌমিকের মাধ্যমিক পরীক্ষার সিট পড়েছিল কোনপাকরীর বিবেকানন্দ হাই স্কুলে৷ ছাত্রীর মা জ্যোৎস্না ভৌমিক জানিয়েছেন, পরীক্ষা দিতে স্কুলে ঢোকার পর প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার আগেই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ে মৌ৷ বমি করতে করতে স্কুলের বাইরে বেরিয়ে আসে সে ৷ পেটে যন্ত্রণাও হচ্ছিল৷ সঙ্গে সঙ্গেই তিনি স্কুলের ভেতরে গিয়ে শিক্ষিকা ও কর্মীদের বিষয়টি জানান৷ কিন্তু তাঁর অভিযোগ, স্কুলের তরফে কেউ তাদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি। আশপাশের কিছু মানুষের সাহায্যে মেয়েকে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করান জ্যোৎস্নাদেবী৷
তাঁর কথায়, ‘‘মেয়ে সারা বছর পড়াশোনা করেছে৷ আমরা চেয়েছিলাম ও পরীক্ষাটা অন্তত দিক৷ কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছানোর অনেকক্ষণ পরেও স্কুল কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করেননি। শেষ পর্যন্ত জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক যখন হাসপাতালে পৌঁছোন তখন পরীক্ষা শেষের পথে৷’’
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) স্বপন মোহান্ত বলেন, ‘‘আমি দেড়টা নাগাদ খবর পাই ৷ দু’টোর মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছেও যাই৷ তখন ছাত্রীটির স্যালাইন চলছিল৷ ছাত্রীর মা আমায় বলেন, তার মেয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে না৷’’ একই দাবি বিবেকানন্দ হাইস্কুল কর্তৃপক্ষেরও৷ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা আলো সরকারের দাবি, ‘‘ছাত্রীটি পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে৷ ভেনুর অফিসার ইনচার্জের মাধ্যমে আমি তা জানার পর হাসপাতালেই তার পরীক্ষা নেব বলে ঠিকও করি৷ কিন্তু তার অভিভাবকরাই অফিসার ইনচার্জকে বলেন, ছাত্রীটি এ দিন পরীক্ষা দিতে পারবে না৷ আর তার অভিভাবকরা স্কুলের কাউকে কিছু জানালে সবরকমের সাহায্য পেত৷’’
কিন্তু কেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে সঠিক সময়ে খবর দেওয়া হল না সেই প্রশ্নের সদুত্তর অবশ্য মেলেনি৷ ঘটনায় ক্ষুব্ধ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক নিজেও৷ তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy