প্রয়োজন মতো মেলে না জামাকাপড়। এমনকী মেলে না স্যানিটারি ন্যাপকিন—এমনই অভিযোগ তুলে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কোচবিহারের বাণেশ্বরে মহিলাদের একটি স্বল্পকালীন আবাসের আবাসিকরা। রবিবার ওই হোমের ১৯ জন আবাসিক ফোন ব্যবহার করতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে বাইরে বেরিয়ে যান। পরে পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা গিয়ে তাঁদের বুঝিয়ে হোমে ফেরত নিয়ে যান। সোমবার এই নিয়ে বৈঠক বসে। সেখানে কোচবিহার সদরের মহকুমাশাসক সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা ছিলেন। আবাসিকদের সঙ্গেও আধিকারিকরা কথা বলেন।
কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন বলেন, “ওই হোমে পরিকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। তা নিয়ে হোম কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়েছে। কোনও অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” কোচবিহার সদর মহকুমাশাসক অরুন্ধতী দে জানান, আপাতত ওই হোমে প্রতি দিন পরিদর্শন করবেন প্রশাসনের আধিকারিকরা।
ওই হোমের সুপার ইতি রায় নিজে কিছু দিন আগে ওই অভিযোগ লিখিত ভাবে প্রশাসনের আধিকারিকদের জানান। তিনি বলেন, “প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েরা এই হোমে থাকেন। তাঁদের নানা সুবিধে-অসুবিধে রয়েছে। এ ছাড়া নিরাপত্তা একটি বড় ব্যাপার। তাতেও অনেক অসুবিধে রয়েছে। এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতেই আমি আর্জি জানিয়েছি।” ওই হোম একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অধীনে। তাঁরা ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তাঁরা ওই অভিযোগের পিছনে হোম সুপারকেই দায়ী করেন। সংস্থার সম্পাদক বাবলু কার্জি বলেন, “মিথ্যে অভিযোগ। আবাসিকদের নানা ভাবে উস্কে এমন অভিযোগ করানো হচ্ছে।” জেলাশাসকও জানান, যদি অন্যায় কিছু হয়, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy