প্রস্তুত: অশান্তির আশঙ্কায় পুলিশের জলকামান। আতঙ্কে দোকান বন্ধ রায়গঞ্জে। সোমবার। ছবি: গৌর আচার্য।
আদিবাসীরা আবার আন্দোলন করতে শহরে আসতে পারেন, এই ভুয়ো খবরে আতঙ্ক ছড়াল রায়গঞ্জে।
সকালে হঠাৎ শহরে ছড়িয়ে যায়, দুই আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত দুষ্কৃতীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার রায়গঞ্জ শহরে আদিবাসীরা বিক্ষোভ মিছিল করে থানায় গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেবেন। সম্প্রতি ১৪ জুলাই আদিবাসীদের আন্দোলনে শহরে ভাঙচুর হয়েছিল।
সেই আশঙ্কায় সকাল ৮টা থেকে শহরের শিলিগুড়িমোড় থেকে কসবা পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় কয়েকশো পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স মোতায়েন করা হয়। পাশাপাশি, পুর বাসস্ট্যান্ড চত্বর ও থানার সামনেও বহু পুলিশ মোতায়েন করে গোলমালের মোকাবিলায় জলকামান রাখা হয়।
পুলিশের অনুরোধে বাসস্ট্যান্ড চত্বর থেকে বিভিন্ন রুটের সমস্ত বাস, ট্রেকার, অটো ও টোটো সরিয়ে দেওয়া হয়। শহর জুড়ে পুলিশি তত্পরতায় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
গোলমালের আশঙ্কায় শহরের বেশিরভাগ দোকানপাট ও বাজার বন্ধ হয়ে যায়। বেশিরভাগ রুটে বেসরকারি যানবাহন চলাচল করেনি। শহরের বিভিন্ন প্রাথমিক ও হাইস্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। এরপর বিকাল থেকে শহরের বিভিন্ন দোকানপাট ও বাজার খুলতে শুরু করে। তবে শেষপর্যন্ত এদিন শহরে কোনও আদিবাসী সংগঠনের তরফে কোনও আন্দোলন করা হয়নি।
এর পরেই পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ ছড়ায় ব্যবসায়ী, বাস মালিক ও আদিবাসীদের মধ্যে। তাঁদের দাবি, এদিন পুলিশের অতি সক্রিয়তায় ছড়ানো গুজবের জেরেই শহর জুড়ে আতঙ্ক ছড়ায়।
যদিও উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহের দাবি, পুলিশ কোনও গুজব ছড়ায়নি। ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনার প্রতিবাদে ও অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আদিবাসীরা আন্দোলন করছেন। এদিন রায়গঞ্জে সেরকমই আন্দোলনের আগাম খবরের ভিত্তিতেই শহরের আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হয়।
জেলা আদিবাসী সমন্বয় কমিটির সম্পাদক শ্যামুয়েল মার্ডির পাল্টা দাবি, এ দিন রায়গঞ্জে আদিবাসীদের কোনও আন্দোলন ছিল না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy