Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে ‘আক্রান্ত’

ধীরাজবাবু জানান, রোহিণীর কাছে মোর্চার কয়েক জন কর্মী-সমর্থক গাড়িকে থামিয়ে চাবি কেড়ে নিতে গিয়েছিলেন। তবে গাড়ি না দাঁড় করিয়ে এপিডিআর-এর কর্মীরা চলে আসেন।

প্রতিবাদ: শিলিগুড়ির মিলন মোড়ে গোর্খাদের মিছিল। শনিবার। নিজস্ব চিত্র

প্রতিবাদ: শিলিগুড়ির মিলন মোড়ে গোর্খাদের মিছিল। শনিবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৭ ০৩:১৬
Share: Save:

পাহাড়ের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গেলে মানবাধিকার কর্মীদের গাড়ির চাবি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মোর্চার একাংশের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার ওই ঘটনাটি ঘটে রোহিণীর কাছে। শনিবার শিলিগুড়িতে ফিরে বিষয়টি তোলেন অ্যাসোসিয়েশন অব প্রটেকশন অব ডেমোক্র্যাটিক রাইট (এপিডিআর)-এর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ধীরাজ সেনগুপ্ত।

ধীরাজবাবু জানান, রোহিণীর কাছে মোর্চার কয়েক জন কর্মী-সমর্থক গাড়িকে থামিয়ে চাবি কেড়ে নিতে গিয়েছিলেন। তবে গাড়ি না দাঁড় করিয়ে এপিডিআর-এর কর্মীরা চলে আসেন। সেখান থেকে ফিরে শুক্রবার কালিম্পঙে গিয়ে মোর্চার জেলা সভাপতিকে তাঁরা এ ব্যাপারে অভিযোগও জানান। সব শুনে মোর্চার ওই নেতা দুঃখপ্রকাশ করেন। নিজেই সঙ্গে করে ছেড়ে দিয়ে আসতেও চান।

এ দিন ধীরাজবাবু বলেন, ‘‘এমন ঘটনা মোর্চার পক্ষে ভাল নয়। সেটা ওদের কালিম্পঙের জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি।’’ মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, ‘‘এপিডিআরের কর্মীদের হেনস্থা করার কোনও উদ্দেশ্য আমাদের নেই। এমন কিছু হয়নি। বিষয়টি দেখছি। যে নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করব।’’

পাহাড়ের পরিস্থিতির জন্য রাজ্য সরকার তথা পুলিশ-প্রশাসনের সমালোচনা করে এপিডিআর। তাদের অভিযোগ, বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। তাদের অভিযোগ, গোলমালে কয়েক জন মারা গিয়েছেন। পাহাড়ে চাল নেই। বিভিন্ন এলাকায় ওষুধ নেই। নেই ইন্টারনেট পরিষেবাও। প্রশাসন কেন খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারছে না, সেই প্রশ্ন তোলে এপিডিআর। তাঁদের দাবি, মোর্চার নেতাদের জিজ্ঞাসা করেছেন, তাঁরা ওষুধের দোকান খোলা রাখছেন, অথচ রেশন দোকান বন্ধ রাখছেন কেন? হেরিজটেজ স্টেশন, ভবনে, পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। সরকার আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে বলার সুযোগ পাচ্ছে। আপনারা দাবি নিয়ে গণ স্মারকলিপি দিয়েছেন?

মানবাধিকার কর্মীদের অভিযোগ, বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ দার্জিলিঙে জেলাশাসকের দফতরে অধিকাংশ এপিডিআরের দাবি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সরকারকে নমনীয় হতে হবে, সাহায্য করার মানসিকতা নিয়ে এগোতে হবে। কেন্দ্রও চুপ থাকতে পারে না। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব এ নিয়ে বলেন, ‘‘এপিডিআর-এর কথাকে গুরুত্ব দিতে চাই না। তাঁরা প্রচারের বৃত্তে থাকতে চান। নানা কথা বলেন। তা নিয়ে কিছু বলার নেই।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Human rights workers Attacked GJM Darjeeling
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE