মাঠ নিয়ে কয়েকটি দলের আপত্তিতে নজিরবিহীন ভাবে পিছিয়ে গেল আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনের ম্যাচ। শিলিগুড়িতে ম্যাচ পিছোনো নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। যদিও খেলা পিছিয়ে যাওয়ার কারণ নিয়ে এআইএফএফ (অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন) কর্তাদের মধ্যেই মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। অবশ্য রানীডাঙ্গায় এসএসবির মাঠ খেলার উপযুক্ত নয় বলে আপাতত ওই মাঠে খেলানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ম্যাচ কমিশনার।
রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা, অথচ আগের দিন রাত ৯টার আগে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারলেন না তাঁরা। জানা গেল, ৪ এপ্রিলের আগে কোনও খেলা হবে না এসএসবি ময়দানে। তবে জল দিয়ে রোলার চালালেই নাকি মাঠ চার দিনে উপযুক্ত করে ফেলা যাবে বলে দাবি ম্যাচ কমিশনারের। যদিও হঠাত্ করে এ ভাবে ওই মাঠে ম্যাচ বাতিল করাকে ভাল ভাবে নিচ্ছেন না ক্রীড়া পরিষদ কর্তাদের একাংশ। ক্রীড়া পরিষদের কর্তারা প্রশ্ন তুলছেন, গত মাসে এই মাঠই এআইএফএফ ও আইএফএ কর্তারা যুগ্ম ভাবে পরিদর্শন করে ফিট সার্টিফিকেট দিয়ে গিয়েছিলেন। তবে খেলার আগের দিন নতুন করে কী সমস্যা হল? ক্রীড়া পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, লোনস্টার কাশ্মীর, পিফা স্পোর্টসের মত কয়েকটি দল তাদের বেশিরভাগ খেলা এসএসবি মাঠে পড়েছে বলে আপত্তি জানায় ম্যাচ কমিশনারের কাছে। কাঞ্চনজঙ্ঘার ভালমাঠে খেলার সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে বলে আপত্তি জানিয়েছে। যদিও কোনও দলের কর্তারাই এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি।
এআইএফএফের কো-অর্ডিনেটর দেবজ্যোতি মুখোপাধ্যায় বলেন, “মাঠে জল কম পড়ায় মাঠ শক্ত হয়ে রয়েছে। তাতে সমস্যা হয়েছে। তবে কয়েক দিনের পরিচর্যায় মাঠ ঠিক করে ফেলা যাবে বলে আমরা আশাবাদী।” যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এআইএফএফ এর অপর এক কর্তা দলগুলির আপত্তির কথা স্বীকার করে নেন। তবে তিনি মাঠের সমস্যার বিষয়টিকেও তুলে ধরতে চেয়েছেন। প্রতিযোগিতার অন্যতম ম্যাচ কমিশনার আর ডি সাহু বলেন, “এর আগে যখন মাঠ দেখা হয়েছিল, তখনই মাঠের কয়েকটি অংশ উঁচু নিচু ছিল, এসএসবি কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা ঠিক করে ফেলা হবে। সেই মত খেলাও দেওয়া হয়। তবে আমরা শনিবার গিয়ে দেখি সমস্যাটা থেকেই গিয়েছে। ফলে আরও কয়েকদিন সময় দিয়ে তা ঠিক করার কথা বলেছি।” এসএসবির নিজস্ব মালি ছুটিতে থাকায় সমস্যা হয়েছে বলে তাঁদের জানানো হয়েছে। তবে ক্রীড়া পরিষদের পক্ষ থেকে সচিব অরূপরতন ঘোষ অবশ্য জানিয়েছেন, ওই মাঠটি ক্রীড়া পরিষদের হাতে না থাকাতেই সমস্যা হয়েছে। তিনি বলেন, “এসএসবির মাঠে সবসময় মালি পাঠিয়ে মাঠ ঠিক করার অনুমতি পাওয়ার সমস্যা রয়েছে। নানা রকম বিধিনিষেধের জন্যই মাঠ ম্যাচের উপযুক্ত করা যায়নি।” তবে এসএসবি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মিটিয়ে ফেলে ৪ এপ্রিল থেকে খেলা করা সম্ভব বলে তিনি আশা করছেন। মাঝে দুদিন কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে খেলা নেই। সেই দু’দিনের চারটি খেলা এই মাঠে করে ওই মাঠটি তৈরি করে ফেলা হবে। প্রতিদিনের খেলার সূচিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। সকাল সাড়ে ন’টায় প্রথম এবং বিকেল সওয়া তিনটেয় দ্বিতীয় খেলাটি হবে। আগামীকাল কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় খেলায় মুখোমুখি হচ্ছে বাংলার দুটি দল মহমেডান স্পোর্টিং ও ইউনাইটেড স্পোর্টস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy