প্রতীকী ছবি।
চিকিৎসায় গাফিলতিতে বৃদ্ধার মৃত্যুর অভিযোগের মামলায় খানিকটা হলেও স্বস্তি পেলেন জলপাইগুড়ির নার্সিংহোমের তিন চিকিৎসক সহ পাঁচ জন৷ তাঁদের আইনজীবী অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁরা এই মামলার এফআইআর বা মামলাটি খারিজের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন। অনির্বাণবাবু বলেন, ‘‘এই আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট চার সপ্তাহের জন্য এই মামলার তদন্ত প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে৷ পাশাপাশি মামলার কেস ডায়েরি তলব করেছে৷ দুই সপ্তাহ পর ফের মামলার শুনানি হবে৷’’ তাদের আর এক আইনজীবী সন্দীপ দত্ত বলেন, ‘‘হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের ফলে আগামী চার সপ্তাহে পুলিশ এই মামলায় চিকিৎসক বা কর্মীদের গ্রেফতার করতে পারবে না’’
জলপাইগুড়ি শহরের বাবুপাড়া এলাকার ওই নার্সিংহোমে গত ১১ এপ্রিল মীনা ছেত্রী (৬২) নামে রেসকোর্স পাড়ার বাসিন্দা এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়৷ ওই ঘটনায় নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হন তাঁর বাড়ির লোকেরা৷ তাঁদের অভিযোগ ছিল, মীনাদেবীকে ভেন্টিলেশনে রাখা হলেও যন্ত্রটিই খারাপ ছিল৷ অভিযোগ, সে কারণেই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে৷ তাঁরা পুলিশের কাছেও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷ যার জেরে ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট অ্যাক্ট ছাড়াও পুলিশ ৩০৪ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করে৷
প্রথম থেকেই এই মামলায় ৩০৪ ধারা যুক্ত করা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে থাকেন অভিযুক্তের আইনজীবীরা৷ জলপাইগুড়ির আদালতে তিন চিকিৎসক সহ পাঁচ জনের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ার পরে দুই চিকিৎসক সহ চার জন দিন কয়েক আগে কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলাটিই খারিজের আবেদন করেন৷ এ দিন যার শুনানি হয় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চে৷
হাইকোর্টের এ দিনের এই নির্দেশে স্বাভাবিক ভাবেই অনেকটাই স্বস্তিতে চিকিৎসক ও নার্সিংহোমের কর্মীরা৷ তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy