শিশু পাচার সংক্রান্ত অনেক তথ্য চন্দনা চক্রবর্তী ও মৃণাল ঘোষ নিজেদের মধ্যে হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে আদান প্রদান করেছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ৷ মৃণালের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে এমন তথ্যই জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা৷ এ দিন মৃণাল ঘোষ ও দার্জিলিং সিডব্লুউসি-র সদস্য দেবাশিস চন্দকে সাতদিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷
সাতদিনের পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এ দিনই জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করা হয় শিশু পাচার কাণ্ডে সিআইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া মৃণাল ঘোষ ও দেবাশিস চন্দকে৷ সিআইডি-র তরফে এ দিন ধৃতদের আর নতুন করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হয়নি৷ তবে সরকার পক্ষের আইনজীবী সিন্ধু কুমার রায় আদালতে জানান, মৃণাল ঘোষের বাজেয়াপ্ত হওয়া মোবাইল থেকে স্পষ্ট যে বিভিন্ন সময় শিশু পাচার সংক্রান্ত ব্যাপারে তার সঙ্গে চন্দনার হোয়াটস অ্যাপে অনেক কথাবার্তা হয়েছে৷ এই বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখা দরকার। সেই সঙ্গে তদন্তও এখন প্রাথমিক স্তরে রয়েছে৷ সে জন্যই মৃণাল ঘোষ ও দেবাশিস চন্দকে যেন জামিন দেওয়া না হয়৷
মৃণালবাবুর আইনজীবী অলোকেশ চক্রবর্তী পাল্টা সওয়ালে বলেন, অভিযোগে যে সতেরোটি শিশুর কথা বলা হচ্ছে তার একজনকেও দার্জিলিং থেকে পাঠানো হয়নি৷ পাশাপাশি তার মক্কেলের সঙ্গে চন্দনার আর্থিক লেন-দেনেরও কোন তথ্য তদন্তে এখনও পাওয়া যায়নি৷ দেবাশিস চন্দের আইনজীবী শংকর দে দাবি করেন, চন্দনার হোমের সঙ্গে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় ছাড়া আর কোনও যোগাযোগ তাঁর মক্কেলের ছিল না৷ এই মামলাতেও তাঁর মক্কেলের যোগ এখনও উঠে আসেনি৷ তাই তার জামিন দেওয়া হোক৷
দু’ পক্ষের সওয়াল শোনার পর জলপাইগুড়ির মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট দেবপ্রিয় বসু খানিক্ষণের জন্য মামলার নির্দেশ স্থগিত রাখেন৷ পরে দু’জনকেই সাতদিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy