Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

রক্ত রাখতে হিমসিম ব্যাঙ্ক

জলপাইগুড়ির ব্ল্যাড ব্যাঙ্কের কর্তারা জানিয়েছে, জেলায় প্রতি দিনই দু’তিনটি করে রক্তদান শিবির হচ্ছে৷ কোনও কোনও দিন আবার চারটে শিবিরও হচ্ছে৷ প্রতিদিনই শিবিরগুলি থেকে একশো-দেড়শো ইউনিট রক্ত সংগ্রহ হচ্ছে৷

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৭ ০৩:১৬
Share: Save:

প্রতিদিন একাধিক শিবির হচ্ছে৷ সেখান থেকে রক্তও সংগ্রহ হচ্ছে প্রচুর৷ কিন্তু এত রক্ত কী ভাবে রাখা হবে, তা নিয়েই এখন হিমসিম অবস্থা জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের ব্ল্যাডব্যাঙ্ক কর্তাদের৷

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে অন্য জেলার মতোই জলপাইগুড়িতেও চলছে ব্ল্যাড ডোনেশন মেগা ক্যাম্প৷ জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০ থেকে ২৬ মে পর্যন্ত থানা স্তরে রক্তদান শিবির হয়৷ ২৭ মে থেকে পঞ্চায়েত স্তরে রক্তদান শিবির শুরু হয়েছে৷ এর উপর আবার বেসরকারি উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির তো রয়েছেই৷

জলপাইগুড়ির ব্ল্যাড ব্যাঙ্কের কর্তারা জানিয়েছে, জেলায় প্রতি দিনই দু’তিনটি করে রক্তদান শিবির হচ্ছে৷ কোনও কোনও দিন আবার চারটে শিবিরও হচ্ছে৷ প্রতিদিনই শিবিরগুলি থেকে একশো-দেড়শো ইউনিট রক্ত সংগ্রহ হচ্ছে৷ কোনও কোনও দিন দু’শো ইউনিট রক্তও সংগ্রহ হচ্ছে৷ কিন্তু এক সঙ্গে এত রক্ত কোথায় রাখা হবে, তা নিয়েই চাপ বাড়ছে জেলা হাসপাতালের ব্ল্যাড ব্যাঙ্কের কর্তাদের৷

জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের ব্ল্যাড ব্যাঙ্কের এক কর্তা বলেন, ‘‘বিয়ের সময় বাড়িতে সব আত্মীয়-স্বজন এক সঙ্গে এলে যা হয়, রক্ত নিয়ে এখন আমাদের অবস্থাও একই৷’’ ওই কর্তার কথায়, জেলা হাসপাতালের ব্ল্যাড ব্যাঙ্কে পাঁচশো ইউনিট রক্ত ভাল ভাবে রাখা যায়৷ কিন্তু ইতিমধ্যেই তা পেরিয়ে গিয়েছে৷ মালবাজারেও প্রতিদিন কিছু রক্ত পাঠানো হচ্ছে৷ তারপরও এই ব্ল্যাড ব্যাঙ্কে রক্ত রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা এখন কিছু রক্ত হলদিবাড়িতে পাঠানোর কথা ভাবছি৷’’

শুধু তাই নয়, কর্মী প্রয়োজনের চেয়ে কম থাকায় প্রতিদিন রক্তদান শিবির করতেও সমস্যায় পড়ছেন ব্ল্যাডব্যাঙ্কের কর্মীরা৷ জানা গিয়েছে, জেলার এই ব্ল্যাডব্যাঙ্কটিতে এই মুহূর্তে সাত জন টেকনিশিয়ান রয়েছেন৷ ব্ল্যাড ব্যাঙ্কের কর্তারা জানিয়েছেন, কিন্তু এই সংখ্যাটা কম। তাঁদের কথায়, দু’বেলায় দু’জন করে মোট চার জনকে ব্ল্যাড ব্যাঙ্কে প্রয়োজন৷ রাতে থাকতে হয় একজনকে৷ এর বাইরে প্রতিদিনই কারও না কারও সাপ্তাহিক ছুটি থাকে৷ কিন্তু, অন্তত একজন টেকনিশিয়ান ছাড়া রক্তদান শিবির করা সম্ভব নয়৷

ফলে এমনও হচ্ছে, কোনও কোনও কর্মীকে দিনে শিবির করে রাতে আবার ব্ল্যাড ব্যাঙ্কে ডিউটি করতে হচ্ছে৷ জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা অবশ্য সমস্যার কথা মানতে চাননি৷ সিএমওএইচ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘টেকনিশিয়ানের সমস্যা হলে অবশ্যই অন্য বিভাগ থেকে টেকনিশিয়ান ব্ল্যাড ব্যাঙ্কে পাঠানো হবে৷ তা ছাড়া, প্রতিদিন রক্ত অনেক বেশি পরিমাণে সংগ্রহ হলেও, তা নষ্ট হওয়ার কোনও ভয় নেই৷’’ রক্ত প্রয়োজনে শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হবে৷

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE