প্রতীকী ছবি।
কোথাও ক্লাব গড়ে রুখে দেওয়া গিয়েছে নাবালিকা বিয়ের প্রবণতা। কোথাও আবার নির্দিষ্ট সময়ে মিলছে প্রকল্পের বরাদ্দ টাকা। কন্যাশ্রী প্রকল্পে এমনই নানা বিষয়ের সামগ্রিক মূল্যায়নে রাজ্যের ‘সেরা পাঁচ’ জেলাকে পুরস্কৃত করা হবে। প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই তালিকায় উত্তরবঙ্গের তিন জেলার নাম রয়েছে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও দক্ষিণ দিনাজপুর।
সেরা পাঁচের তালিকায় বাকিদুটি হল দক্ষিণবঙ্গের বাঁকুড়া ও উত্তর ২৪ পরগনা। আগামী ২৫ জুলাই এ বারের কন্যাশ্রী দিবস উদযাপন হবে। ওই অনুষ্ঠান উপলক্ষে কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিকে পুরস্কৃত করা হবে। উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও।
রাষ্ট্রপুঞ্জে পুরস্কৃত কন্যাশ্রী প্রকল্পের মূল্যায়ণে সেরার তালিকায় উত্তরের তিনটি জেলা থাকায় বাড়তি খুশি উত্তরকন্যাতেও। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “সত্যিই ভাল খবর। কন্যাশ্রী প্রকল্প গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলেছে। দারুণ কাজ হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।” কোচবিহারের জেলাশাসক কৌশিক সাহা বলেন, “সেরা পাঁচে কোচবিহারের নাম রয়েছে। ওই ব্যাপারে চিঠি এসেছে। এটা ওই প্রকল্পের কাজের ব্যাপারে দারুণ একটা স্বীকৃতিও।”
কন্যাশ্রী প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার পর ‘কে ওয়ান’ (১৩-১৮ বছর) শ্রেণির আবেদনকারী হিসেবে প্রথম আর্থিক সুবিধে দেওয়া হয়। ১৮ বছর পূরণ হলেই কম্পিউটারের রেজিস্টার্ড কন্যাশ্রীর নাম অটো আপগ্রেড হয়ে ‘কে টু’ শ্রেণির তালিকায় উঠবে। সেক্ষেত্রে এককালীন ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়।
শুধুমাত্র কোচবিহারেই এ বছর ৮০ হাজারের বেশি ‘কে ওয়ান’ ও ১৬ হাজারের বেশি ‘কে টু’ কন্যাশ্রীর তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। কোচবিহারে প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত নোডাল অফিসার সৌগত মাইতি বলেন, “সারা বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে পরিকল্পনামতো প্রকল্পে কাজ হয়।”
২০১৫ সালে কন্যাশ্রী প্রকল্পে রাজ্যে প্রথম স্থান পেয়েছিল কোচবিহার। এ বার অবশ্য কোন জেলা কোন স্থানে রয়েছে তা আপাতত ‘ফাইলবন্দি’ করে রাখা হয়েছে। অনুষ্ঠানের দিন মঞ্চেই তা ঘোষণা হতে পারে। কোচবিহার প্রশাসনের এক কর্তা অবশ্য বলেন, ‘‘সামগ্রিক মূল্যায়ণে রাজ্যে প্রথম পাঁচের তালিকার মধ্যে থাকাটাও কম গৌরবের ব্যাপার নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy