মুখ্যমন্ত্রীকে শক্তি বোঝাতে এক লক্ষ লোকের সমাবেশ করার লক্ষ্য নিয়েছেন কেপিপি নেতা অতুল রায়। ২৫ এপ্রিল রাসমেলার মাঠে জনসভা করবেন তাঁরা। ২৪ এপ্রিল কোচবিহারে যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। ২৫ তারিখেই মুখ্যমন্ত্রীর সভা হওয়ার কথা চকচকাতে।
বার বার বিজেপির সভায় মাঠ ভরাতে দেখা গিয়েছে গ্রেটার নেতা অনন্ত মহাঁরাজকে। তাঁর সেই শক্তি দেখে বিজেপি নেতৃত্বের কাছে গুরুত্ব বেড়েছে মহারাজের।
অতুল অনুগামীদের অবশ্য দাবি, অনন্ত নয়, এই অঞ্চলে শক্তিশালী তাঁরাই। মুখ্যমন্ত্রী সে খবর রেখেছেন। এবারে নিজে চোখেই তিনি তা দেখে যাবেন। গ্রেটারের আর এক নেতা বংশীবদন বর্মনের অনুগামীরা অবশ্য দাবি করেছেন, কোচবিহারে অন্ততপক্ষে বংশীর ধারে কাছে কেউ নেই। অনন্তবাবুর অনুগামীরা বেশিরভাগই নিম্ন অসমের। আর অতুলবাবু প্রতিবেশী জেলায় প্রভাব রয়েছে।
বংশীবাবু জানান, গত লোকসভা নির্বাচনের আগেই কোচবিহার রাজবংশী উন্নয়ন পর্ষদ গঠনের দাবি করেছেন তাঁরা। তিনি বলেন, “আমরা আশা করছি, মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে সিদ্ধান্ত নেবেন। সেখানে আমদেরও বড় ভুমিকা থাকবে। কোচবিহারের মানুষও তেমনটা চান। সেই লক্ষ্যেই গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে সমর্থন করেছি। জয়ের ব্যবধানই বুঝিয়ে দিয়েছে আমাদের কত মানুষ আছেন জেলায়।”
অতুলবাবু জানান, ওই দিনের সভায় কোচবিহার বাদেও পাশের জেলা থেকে অনেক মানুষ যোগ দেবেন। তিনি বলেন, “কমপক্ষে এক লাখ লোক মানুষ যোগ দেবেন ওই সভায়। সে দিনই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।” অনন্ত ঘনিষ্ঠ এক নেতা অবশ্য বলেন, “মহারাজ বার বার তাঁর সভার আয়োজন করেছেন। তাতে তিনি জনসমর্থন দেখিয়েছেন।”
দলীয় সূত্রের খবর, রাজবংশী ভোট নিজেদের পক্ষে রাখতে বংশী ও অতুল দু’জনকেই নিজেদের সঙ্গে রাখবে তৃণমূল। সেক্ষেত্রে তাঁদের দাবির বেশ কিছু মেনে নেওয়া হতে পারে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর কোচবিহার সফরে তাঁরা যাতে গুরুত্ব পান, সে জন্য নিজেদের শক্তি বোঝাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। জেলা তৃণমূলের এক নেতার কথায়, “জেলায় এখন তৃণমূলের ধারে কাছে কোনও শক্তি নেই। তবে ওই দুই নেতার কিছু প্রভাব তো এখানে আছেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy