এ বার পাহাড়ের ১৫টি উন্নয়ন বোর্ডের ধাঁচে কোচবিহারে রাজবংশী উন্নয়ন পর্ষদ গঠনের দাবি উঠে গেল। ইতিমধ্যেই কেপিপি ও গ্রেটারের একটি গোষ্ঠীর তরফে তা নিয়ে তৃণমূল নেতাদের মাধ্যমে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে প্রস্তাবও গিয়েছে। তা ছাড়াও দলীয় সূত্রের খবর, ২৫ এপ্রিল রাসমেলার মাঠের জনসভায় কেপিপি নেতা অতুল রায় মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই উন্নয়ন পর্ষদের দাবি তুলতে পারেন।
অতুলবাবু অবশ্য তা নিয়ে কিছু বলতে চাননি। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমাদের মঞ্চে থাকবেন। কামতাপুরি ভাষার স্বীকৃতি দেবেন। যে দাবি আমরা বহু বছর ধরে করে আসছি। এ বার উন্নয়নের কাজেও আমাদের সম্প্রদায়কে সরাসরি দায়িত্ব দেওয়ার সময় এসেছে। তবে বিশদে এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারছি না।”
প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পরেই মুখ্যমন্ত্রী রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমি গঠন করেন। এতে ওই ওই সম্প্রদায়ের একটি বড় অংশের সমর্থন তাঁর দিকে গিয়েছে বলে মত স্থানীয় রাজনৈতির নেতাদের। ভাষার স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে মত দিতেই গোটা এলাকায় সাড়া পড়েছে। একই ভাবে পাহাড়ে আলাদা রাজ্যের দাবিকে উন্নয়ন পর্ষদ তৈরি করেই কোণঠাসা করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, ওই এলাকায় নিজের দলের প্রভাব বাড়াতেও তিনি সমর্থ হয়েছেন। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার মধ্যেও ভাঙন ধরেছে।
কোচবিহারে ইতিমধ্যেই আলাদা রাজ্যের দাবিদার দুই আন্দোলনকারী নেতাদের একজন বংশীবদন বর্মনকে কাছে টানতে সক্ষম হয়েছে তৃণমূল। কেপিপি নেতা অতুল রায়ের দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে ভাল সখ্যতা রয়েছে। এই অবস্থায় একমাত্র গ্রেটার নেতা অনন্ত রায় (মহারাজ) নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে আলাদা রাজ্যের দাবি তুলে যাচ্ছেন। বিজেপি তার সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে রাজবংশী ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসাতে চাইছে। তৃণমূলের এক নেতার কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী রাজবংশী তো বটেই, সামগ্রিকভাবে কোচবিহারের উন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ করেছেন। পর্ষদের বিষয়টিও হয়ত তিনি ভেবে দেখবেন। মানুষ তাঁর পক্ষেই থাকবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy