বামেদের পাশে না পাওয়ায় চার বছর আগে বাজেট পাশ করাতে পারেনি কংগ্রেসের সংখ্যালঘু বোর্ড। বামেরা পাশে না থাকায় সে যাত্রায় বোর্ড থেকেও সরে যেতে হয় কংগ্রেসকে। ঘটনাচক্রে, আজ শনিবার সেই শিলিগুড়ি পুরসভায় বাজেট পাশ করাতে মূলত কংগ্রেসের উপরেই নির্ভর করতে হবে বামেদের পুরবোর্ডকে।
প্রয়োজনে কংগ্রেসকে চিঠি লিখবেন বলেও জানিয়েছেন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। মেয়র বলেন, ‘‘বোর্ড সুষ্ঠু ভাবে চালাতে কংগ্রেসের সমর্থন তো আমরা চাই। আগেও সে কথা বলেছি। বাজেট পাশেও তাদের সমর্থন দরকার। প্রয়োজনে চিঠি দিয়েই তাদের কাছে সমর্থন চাইব।’’
৪৭ আসনের শিলিগুড়ি পুরসভায় ২৩টি আসন বামেদের দখলে। সেই সঙ্গে এক নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থন নিয়ে বোর্ড গড়েছিল বামেরা। কিন্তু নির্দল কাউন্সিলর অরবিন্দ ঘোষের প্রয়াণ এবং এক বাম কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারায় বামেরা। বর্তমানে তৃণমূলের ১৮ জন কাউন্সিলর, কংগ্রেসের ৪ এবং বিজেপি’র ২ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে পুরবোর্ডের বাজেট পেশ অন্য তাৎপর্য পেতে চলেছে।
বাজেট ইতিবাচক এবং শহরের উন্নয়নে সহায়ক হলে তা সমর্থন করতে আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন পুরসভার কংগ্রেসের পরিষদীয় নেতা সুজয় ঘটক। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সংখ্যালঘু বোর্ডের সময় বাম এবং তৃণমূলের বাধায় বাজেট আটকে গিয়েছিল। তাতে শহরের বাসিন্দাদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছিল। বাজেট পেশের পর সব দিক ভেবেই সিদ্ধান্ত নেব।’’
ইতিমধ্যেই বরাদ্দে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে মেয়রের বিরুদ্ধ সরব হয়েছিলেন সুজয়বাবু। এমনকী তিন নম্বর বরো চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফাও দেন। মেয়র তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ না করলেও তিনি ওই পদে আর ফিরে যেতে চান না বলেই তাঁর ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের সমর্থন না-মিললে বাজেট পাশ করানোর ক্ষেত্রে বিপাকে পড়তে হতে পারে এই পুরবোর্ডকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy