উদ্ধার: ব্যবসায়ীর বাড়ির সামনে মেলে বোমা। —নিজস্ব চিত্র
গোয়ালপোখরে অলঙ্কার ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতির পর দুষ্কৃতীরা বিহারে গা ডাকা দিয়েছে বলে দাবি পুলিশের। দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে উত্তর দিনাজপুর পুলিশের তরফে বিহারের কিষানগঞ্জ ও মালদহ জেলা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
তদন্তকারী পুলিশ অফিসাদের একাংশের মতে, ঘটনার পিছনে গোয়ালপোখর থানা এলাকার কিছু দুষ্কৃতীর মদত থাকতে পারে। কেননা, স্থানীয় দুষ্কৃতীদের সহযোগিতা ছাড়া বাইরের দুষ্কৃতীদের পক্ষে ওই এলাকায় ঢুকে ডাকাতি করে বোমাবাজি ও শূন্যে গুলি চালিয়ে অজানা রাস্তা ধরে পালানো সম্ভব নয়।
জেলা পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠৌরের দাবি, ‘‘সবদিক খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তদন্তের স্বার্থে এর চাইতে বেশি কিছু বলব না।’’
অলঙ্কার ব্যবসায়ী তপন বিশ্বাসের বাড়ি ডাকাতির পর এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তপনবাবুর বাড়ির সামনে মাঠ থেকে মেলে ছ’টি বোমা। তাতে আতঙ্ক আরও বেড়েছে। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশের নজরদারির অভাবে বাইরের দুষ্কৃতীরা এলাকায় ঢুকে ডাকাতি করার সাহস পেয়েছে। নন্দঝাড় বাজার এলাকার মুদি ব্যবসায়ী সনাতন সরকার ও ওই এলাকার বাসিন্দা পেশায় প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক দুর্জয় চৌধুরী বলেন, ‘‘এলাকার ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন। আমরা নিরাপত্তার অভাববোধ করছি। পুলিশের নজরদারি থাকলে বাইরের দুষ্কৃতীরা এলাকায় এসে ডাকাতি করার সাহস পেত না। পুলিশের কাছে নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছি।’’
বৃহস্পতিবার রাত ১২টা নাগাদ ১০ জনের একটি দুষ্কৃতী দল মুখে কালো কাপড় বেঁধে নন্দঝাড় এলাকার বাসিন্দা তপনবাবুর বাড়িতে চড়াও হয়। বাধা পেয়ে দুষ্কৃতীরা তপনবাবুর পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে প্রায় দু’ভরি সোনার অলঙ্কার ও ১০ হাজার টাকা লুঠ করে বলে অভিযোগ। তপনবাবু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের চিত্কারে প্রতিবেশিরা জড়ো হতে শুরু করলে দুষ্কৃতীরা বোমা ছুড়তে ছুড়তে ও শূন্যে গুলি চালিয়ে জমির আল ধরে বিহারের দিকে পালিয়ে যায়। রাতে তপনবাবুকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শুক্রবার তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়। বাড়ির অদূরে নন্দঝাড় বাজার এলাকায় তপনবাবুর অলঙ্কারের দোকান রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy