ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার এক মাসের মাথায় এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ ছড়াল কোচবিহারে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, শনিবার তুফানগঞ্জে সোলাডাঙ্গা বেলাকোপা এলাকার ওই যুবকের মৃত্যু হয়। তাঁর নাম সুরঞ্জন বর্মন (৩২)। দিনমজুরির কাজ করতেন সুরঞ্জন। তাঁর স্ত্রী ও দুই পুত্র সন্তান রয়েছে।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর জ্বরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ১৬ সেপ্টেম্বর তাঁকে কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ১৯ সেপ্টেম্বর রক্ত পরীক্ষায় তাঁর ডেঙ্গি ধরা পড়ে। তাঁর পরে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে তিনি বাড়িও ফিরে যান তিনি। এর পরে কেন তাঁর মৃত্যু হল তা নিয়ে সংশয় দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক অবশ্য জানান, ওই রোগী যক্ষ্মায় আক্রান্ত ছিলেন। সেখানে চিকিৎসার ব্যাপারে কোনও সমস্যা হয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোচবিহার জেলার ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য আধিকারিক (২) শ্যামল সোরেন বলেন, “প্রাথমিক ভাবে ডেঙ্গি থেকে মৃত্যু হয়নি বলে আমাদের ধারণা। তার পরেও পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” মৃতের দাদা সুরেশ বর্মন বলেন, “বেশ কিছুদিন ধরে টিবি রোগে ভুগছিল ভাই। পড়ে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসা করে ছুটি দেয়। আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে কয়েকজন শিলিগুড়ি নিয়ে যাওয়ার পরামরশ দেয়। কিন্তু টাকা না থাকায় নিয়ে যেতে পারিনি।” স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন বলেন, “ছোট ছোট দুটি সন্তান রয়েছে। দিনমজুরি করে কোনওভাবে সংসার চালাতেন সুরঞ্জন। এখন কী করে সংসার চালাবেন বুঝতে পারছি না।”
কোচবিহারে ইতিমধ্যেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৭০ জন। তাঁদের মধ্যে এখনও বেশ কয়েকজন কোচবিহার জেলা হাসপাতাল ও মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পাশাপাশি জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে জেলায়। সব মিলিয়ে প্রায় ১৫০ জন জ্বর নিয়ে হসপাতাল ও নানা চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি রয়েছেন।
কিন্তু কোনও মৃত্যুর ঘটনা এখনও পর্যন্ত ঘটেনি জেলায়। এই অবস্থায় একজনের মৃত্যুর খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। তাঁরা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল ওই বাড়িতে গিয়ে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখবে। ঠিক কি কারণে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি সতর্কতা অভিযান চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy