Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

সাংবাদিক পরিচয়ে টাকা চেয়ে ধৃত

পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার চেম্বারে গিয়ে দাবিমতো টাকা না পেলে তাঁরা মানহানিজনক খবর করবেন বলে চিকিৎসক বিশ্বজিৎ দে’কে হুমকি দেন বলে অভিযোগ। ধৃতদের নাম রামগোপাল বর্মা এবং অঙ্কিতা বর্মা ওরফে কিরণ।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদাদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৩৭
Share: Save:

এক স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ২০ লক্ষ টাকা আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে প্রধাননগর থানার নিবেদিতা রোড এলাকার ঘটনা। ধৃতদের মধ্যে এক তরুণীও আছেন। ধৃতেরা নিজেদের উত্তরপ্রদেশের একটি নিউজ পোর্টালের সংবাদ প্রতিনিধি বলে দাবি করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার চেম্বারে গিয়ে দাবিমতো টাকা না পেলে তাঁরা মানহানিজনক খবর করবেন বলে চিকিৎসক বিশ্বজিৎ দে’কে হুমকি দেন বলে অভিযোগ। ধৃতদের নাম রামগোপাল বর্মা এবং অঙ্কিতা বর্মা ওরফে কিরণ। দু’জনেই নয়ডার বাসিন্দা। প্রথমে দম্পতি বললেও পরে অঙ্কিতা তাঁর নিকট আত্মীয় বলে রামগোপাল জানিয়েছেন। মাল্লাগুড়ির একটি হোটেলে থেকে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করে, টেলিফোন করে টাকা দাবি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ।

রবিবার ধৃতদের ভারপ্রাপ্ত এসিজেএম প্রজ্জ্বল ঘোষের আদালতে তোলা হলে বিচারক দু’জনকে তিনদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার নীরজ কুমার সিংহ বলেন, ‘‘সাংবাদিক পরিচয় নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।’’

পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতরা যে নিউ়জ পোর্টালের সাংবাদিক বলে পরিচয় দিয়েছেন তার নাম কেভিনিউজ ইন্ডিয়া। দফতরের ঠিকানা উত্তরপ্রদেশের হামিরপুর। ধৃত রামগোপাল নিজেকে পোর্টালের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর বলে জানিয়েছেন। তার পার্টনার হিসাবে সঙ্গীতা বর্মা বলে এক মহিলার নাম পোর্টালের ওয়েবসাইটে রয়েছে। মূলত উত্তরভারতের সংবাদই পোর্টালটিতে দেখা গিয়েছে। তিনি একটি চিকিৎসার সংক্রান্ত গাফিলতির তদন্তে শিলিগুড়ি এসেছিলেন বলে দাবি করেছেন। আদালতে তোলার আগে ধৃতেরা দাবি করেন, ‘‘আমরা সংবাদ সংগ্রহে এসেছিলাম। টাকা চাইনি।’’ ধৃতদের হেফাজত থেকে একটি ক্যামেরাও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

ধৃতদের আইনজীবী জগন্নাথ অগ্রবাল জানান, গত বছর শিলিগুড়িতে দিল্লির এক বাসিন্দার স্ত্রীর অস্ত্রোপচার করেছিলেন ওই চিকিৎসক। সেসময় দম্পতি শিলিগুড়িতে এসেছিলেন। ৭-৮ মাস পরে মহিলার পেটে ব্যাথা হয়। দিল্লিতে চিকিৎসায় দেখা যায়, পেটে তুলো জাতীয় কিছু রয়েছে। সম্প্রতি ওই ব্যক্তি ঘটনাটি খবর করার জন্য যোগাযোগ করেছিলেন বলে রামগোপালের দাবি।

সরকারি আইনজীবী সুশান্ত নিয়োগী বলেন, ‘‘উনি সংস্থার ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আবার পোর্টালের সাংবাদিক। খবর সংগ্রহ করতে নিজেই চলে এসেছেন। বিষয়টি যথেষ্ট সন্দেহজনক।’’ হুমকি টাকা আদায়ের চেষ্টা, প্রতারণা ও ষড়যন্ত্রের ধারায় মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে অভিযোগকারী, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ বিশ্বজিৎ দে মোবাইল ধরেননি। এসএমএসেরও জবাব দেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE