Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

আবার গুলি রায়গঞ্জে

গত ৪ জুলাই রায়গঞ্জের অশোকপল্লি এলাকায় পূর্ব নেতাজিপল্লি এলাকারই বাসিন্দা পেশায় ঠিকাদার এক যুবককে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনার এক সপ্তাহের মাথায় শহরের পথে ফের গুলি চলায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন বাসিন্দারা।

জখম: পাপাই কেওট

জখম: পাপাই কেওট

নিজস্ব সংবাদদাতা
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৭ ০৩:০৩
Share: Save:

এক সপ্তাহের মাথায় আবার গুলি রায়গঞ্জে। অশোকপল্লির পর এ বার পূর্ব নেতাজিপল্লি।

মঙ্গলবার দুপুরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হয়েছেন পাপাই কেওট নামে এক যুবক। ওই এলাকাতেই তাঁর বাড়ি। পুলিশ জানিয়েছে মোটরবাইকে আসা কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে তাদের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই যুবক। তাঁর ডান পায়ের থাইয়ে গুলি লেগেছে। পাপাইকে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

গত ৪ জুলাই রায়গঞ্জের অশোকপল্লি এলাকায় পূর্ব নেতাজিপল্লি এলাকারই বাসিন্দা পেশায় ঠিকাদার এক যুবককে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনার এক সপ্তাহের মাথায় শহরের পথে ফের গুলি চলায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন বাসিন্দারা।

উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠৌরের দাবি, ‘‘গুলিবিদ্ধ যুবকের দাবি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুলি চলার কোনও প্রমাণ পায়নি। কী ভাবে ওই যুবক গুলিবিদ্ধ হলেন তা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’

পাপাইয়ের দাবি, এ দিন দুপুরে তিনি পূর্ব নেতাজিপল্লি এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারের একটি হনুমান মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন। পুজো দিয়ে বার হতেই দু’টি মোটরবাইকে চেপে এসে হেলমেট পড়া কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তাঁর ডান পায়ের থাইয়ে গুলি লাগে।

রায়গঞ্জ থানার টাউনবাবু প্রণব সরকারের দাবি, গুলিবিদ্ধ যুবকের বয়ান অনুযায়ী পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও এলাকার কেউ গুলি চলার ব্যাপারে কিছু জানাতে পারেননি। তাই তিনি ঠিক কোন এলাকায় গুলিবিদ্ধ হলেন, পুরনো কোনও শত্রুতার জেরে দুষ্কৃতীরা তাঁকে গুলি করেছে নাকি অন্য কোনওভাবে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তা জানতে পুলিশ তদন্তে নেমেছে।

রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অতনুবন্ধু লাহিড়ীর দাবি, ‘‘শহরে এক সপ্তাহের মধ্যে এক যুবক খুন ও আরেক যুবকের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার জেরেই শহরে ধীরে ধীরে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ছে।’’

তিনি বাসিন্দাদের নিরাপত্তার স্বার্থে সংগঠনের তরফে পুলিশের কাছে অবিলম্বে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার ও শহরজুড়ে নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানান। জেলা পুলিশ সুপারের দাবি, ‘‘পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্রতিদিনই জেলাজুড়ে বিভিন্ন ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজও উদ্ধার হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE