Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

নদীর পাড়ে মিলল দেওর বৌদির দেহ

শনিবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন স্ত্রী টুম্পা। তা নিয়ে পরদিন থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করেন গৌতম মণ্ডল। সোমবার স্ত্রীর দেহ মিলল গ্রাম থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে, ফুলহার নদীর লাঠিপেটা ঘাটে। সঙ্গে মিলল গৌতমের খুড়তুতো ভাই বিফল মণ্ডলের দেহও।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৭ ০২:৩৪
Share: Save:

শনিবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন স্ত্রী টুম্পা। তা নিয়ে পরদিন থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করেন গৌতম মণ্ডল। সোমবার স্ত্রীর দেহ মিলল গ্রাম থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে, ফুলহার নদীর লাঠিপেটা ঘাটে। সঙ্গে মিলল গৌতমের খুড়তুতো ভাই বিফল মণ্ডলের দেহও। টুম্পার পরিবারের দাবি, দু’জনকে নৃশংস ভাবে খুন করে ফেলে যাওয়া হয়েছে নদীর ধারে। গৌতমের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে ভুতনি ফাঁড়িতে। তিনি অবশ্য বেপাত্তা।

বছর একুশের টুম্পা ও তাঁর থেকে দু’বছরের বড় খুড়তুতো দেওর বিফলকে কেন খুন করা হল, এই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তাদের একাংশের ধারণা, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই এই জোড়া খুন। কিন্তু টুম্পা এবং বিফল, দু’জনের পরিবারই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

দু’বছর আগে ভুতনির দক্ষিণ চণ্ডীপুর পঞ্চায়েতের নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা শচীন মণ্ডলের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় মানিকচকের কামালপুরের বাসিন্দা পেশায় ভিন রাজ্যের শ্রমিক গৌতমের। টুম্পার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের কিছু দিন পর থেকে টুম্পাকে মদ্যপ অবস্থায় মারধর করতেন গৌতম। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ছ’মাস আগে মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলেও আসেন টুম্পা। তার পর কাজের জন্য দিল্লি চলে যান গৌতম। সপ্তাহ দুয়েক আগে দিল্লি থেকে ফিরে টুম্পা এবং দশ মাস বয়েসের মেয়েকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান তিনি।

এ দিন সকালে দুই দেহ উদ্ধার হওয়ার পরে শনাক্ত করতে যান বাড়ির লোকেরা। গিয়ে তাঁরা দেখেন, দুজনের মুখই অ্যাসিড জাতীয় কিছু দিয়ে পোড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া বিফলের ডান হাতের সঙ্গে টুম্পার বাঁ হাত কাপড় দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের গলাতেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরিকল্পিত ভাবে তাঁদের খুন করা হয়েছে বলেই অনুমান পুলিশের। মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গৌতমের পরিবারের না আসায় সন্দেহ দানা বাঁধে।

টুম্পার বাবা শচীনবাবু বলেন, ‘‘লোক দিয়ে আমার মেয়েকে খুন করানো হয়েছে। ঘটনায় যুক্ত রয়েছে আমাদের জামাই নিজেই।’’ তিনি জোর গলায় বলেন, ‘‘মেয়ের সঙ্গে বিফলের কোনও সম্পর্ক ছিল না। হয়তো তাকে রাতে বাড়ি রাখতে আসছিলেন বিফল। সেই সময়ই দু’জনকে খুন করা হয়েছে।’’ একই বক্তব্য বিফলের বাবা পঞ্চানন্দবাবুও। টুম্পার পরিবারের অভিযোগ, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক দেখানোর জন্যই এই ভাবে খুন করে বাড়ি থেকে এত দূরে ফেলে দিয়ে আসা হয়েছে।

পুলিশ দেহ দুটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছেন। জেলা পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Missing woman body found Fulhar river murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE