Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ফেসবুকে তুঙ্গে ক্ষোভ

মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির এক প্রবীণ নেতা জানান, পাহাড়ের খাদ্য সঙ্কট তৈরি হয়েছে। সরকারি কর্মী অনেকেরই বেতন কাটা যাচ্ছে। সমতলে নামার গাড়ির ছাড়পত্র নিতে টাকা দিতে হয়েছে। ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা বড় প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে।

কৌশিক চৌধুরী
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৭ ১০:১০
Share: Save:

মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ দলের নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে তোপ দাগতেই পাহাড়ে তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠা শুরু হল। সোমবার ফেসবুকে অনেকেই গুরুঙ্গের বদলে সাহসী, বিদ্বজ্জন বা নিবেদিতপ্রাণ নেতার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন। তা নিয়ে পাহাড়ের রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কেউ কেউ বিষয়টি নাটক বললেও, অনেকেই বিষয়টি বিনয় তামাঙ্গকে পাহাড়ের নতুন মুখ হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা বলে মনে করেছেন।

এ দিন দুপুরে মোর্চার চিফ কো-অর্ডিনেটর বিনয়ের নেতৃত্বে মোর্চার ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল কলকাতা রওনা হন। তার কয়েক ঘণ্টা আগে সকালে ‘ওয়েক আপ দার্জিলিং’ বলে একটি ফেসবুক পেজে জিএনএলএফের মুখপাত্র নীরজ জিম্বা তামাঙ্গ মোর্চা সভাপতির নাম না করে তাঁকে আক্রমণ করেন। তাঁর দাবি, গুরুঙ্গ রাজনৈতিক নাটক করছেন। তাঁর সেই ফেসবুক পোস্ট শেয়ার করা হয়। সেখানে নীরজ পাহাড়ের নতুন নেতা দরকার বলেও মন্তব্য করেন। তার পরেই ফেসবুকে অনেকে মন্তব্য করতে থাকেন যে, পাহাড়ে বিদ্বজ্জন নেতা প্রয়োজন, দার্জিলিং পাহাড়ের ‘সব থেকে খারাপ জিনিস গুরুঙ্গ’, ‘নাটকবাজ নেতা’র আর প্রয়োজন নেই বলে কমেন্ট পড়তে শুরু করে। এমনকি, বিমল গুরুঙ্গ চেয়ার বাঁচাতে এ সব করছেন বলেও মন্তব্য করা হয়। বিকেল থেকে মোর্চার অন্দরে বিষয়টি নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়। বিমল গুরুঙ্গে অফিশিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্টের টাইমলাইনে পোস্টটি দুপুর অবধি থাকলেও সন্ধ্যায় তা সরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। দলের সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি থেকে কোনও নেতাই এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।

বিতর্ক: এই পোস্ট ঘিরেই উঠছে প্রশ্ন। নিজস্ব চিত্র

মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির এক প্রবীণ নেতা জানান, পাহাড়ের খাদ্য সঙ্কট তৈরি হয়েছে। সরকারি কর্মী অনেকেরই বেতন কাটা যাচ্ছে। সমতলে নামার গাড়ির ছাড়পত্র নিতে টাকা দিতে হয়েছে। ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা বড় প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে। সেই জায়গায় গুরুঙ্গের বদলে নরমপন্থী বলে পরিচিত একটি স্কুলের প্রাক্তন অধ্যক্ষ বিনয়ের কথাবার্তা অনেকেই পছন্দ করছেন। পাহাড়বাসীদের অনেকেই আর আগুন, বিস্ফোরণ, হুমকি পছন্দ করছেন না। প্রকাশ্যে তারা ভয়ে, আতঙ্কে কিছু বলতেও পারছেন না। সেই আবেগকেই জিএনএলএফের তরফে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। নীরজ বলছেন, ‘‘পাহাড়ের বহু মানুষের সঙ্গে কথা বলার পরেই ফেসবুক পোস্ট করেছি। পাহাড় বুদ্ধিদীপ্ত একজন নতুন নেতা চায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE