Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

দ্বন্দ্ব আছেই, টের পেলেন মুকুল নিজে

মালদহ আছে মালদহেই। এ বার তা বোঝা গেল তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের সফরেও। শনিবার মালদহ সফরে গিয়ে ইংরেজবাজার পুরসভার যুযুধান দুই গোষ্ঠীর সঙ্গে আলাদা করে দেখা করে বৈঠকও করলেন মুকুলবাবু।

বৈঠকে: মুকুল রায়। নিজস্ব চিত্র

বৈঠকে: মুকুল রায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৭ ০২:১০
Share: Save:

মালদহ আছে মালদহেই। এ বার তা বোঝা গেল তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের সফরেও। শনিবার মালদহ সফরে গিয়ে ইংরেজবাজার পুরসভার যুযুধান দুই গোষ্ঠীর সঙ্গে আলাদা করে দেখা করে বৈঠকও করলেন মুকুলবাবু। উপরন্তু, জেলা পরিষদের দলীয় সদস্যদের নিয়ে বৈঠকের সময় বেশ কয়েকজন সদস্য সেখানে হাজিরই হননি।

পরে সাংবাদিকদের মুকুলবাবু বলেন, ‘‘এই জেলায় দলে এর সাথে ওঁর, ওঁর সাথে তাঁর, এমন ছোটখাট বিরোধ তো আছেই। এটা অস্বীকার করে লাভ নেই। তাই এ দিন দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্ব, জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, পুরসভার কাউন্সিলার সহ কোর কমিটির নেতৃত্বের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছি। দলে গণতন্ত্র রয়েছে। তাই সহমতের ভিত্তিতেই দল এখানে এগোবে।’’ তিনি দাবি করেন, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদহ জেলা পরিষদ তৃণমূল দখল করবে ও ২০১৯ সালে জেলার লোকসভার দুটি আসনেও দল জয়ী হবে।

এর আগে মালদহে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে সাবিত্রী মিত্র, কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী দুজনকেই সতর্ক করেছিলেন খোদ তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাচক্রে, গত বিধানসভা ভোটে দুজনেই হেরেছেন। তার পরেও ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান পদে থাকার ব্যাপারে গোড়ায় অনড় থাকায় তা নিয়ে দলে বিতর্ক দানা বাঁধে। পরে দলের নির্দেশে সরতে হয় কৃষ্ণেন্দুবাবুকে। দলের কয়েকজন নেতা জানান, দলনেত্রীর সতর্কতার পরেও যে মালদহে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বেশ প্রবল তা এবার খোলাখুলি জানিয়ে দিলেন মুকুলবাবুও।

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের সাংগঠনিক নির্বাচনকে সামনে রেখে আলোচনার জন্য শনিবার মালদহে যান মুকুল রায়। এ দিন ভোরে পদাতিক এক্সপ্রেস ট্রেনে নেমে তিনি পুরাতন মালদহে থাকা গৌড় ভবনে ওঠেন। তিনি বেলা ১০ টায় তিনি প্রথমে জেলা পরিষদের দলীয় সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। সেখানে সভাধিপতি, সহকারী সভাধিপতি, সহ কর্মাধ্যক্ষরা থাকলেও দলেরই দু-তিনজন সদস্য ছিলেন না।

গোল বাধে ইংরেজবাজার পুরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকেও। নয়া পুরপ্রধান নীহাররঞ্জন ঘোষ-সহ ১৩ জন কাউন্সিলাররা বৈঠকে হাজির ছিলেন। প্রাক্তন পুরপ্রধান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী ও তার অনুগামীরা হাজির হননি। ফলে তাঁকে ১৩ জনকে নিয়েই বৈঠক করতে হয়। পরে তিনি কৃষ্ণেন্দু-সহ আট কাউন্সিলরদের নিয়ে আলাদা বৈঠক করেন। ক্ষমতাসীন কাউন্সিলরদের কয়েকজন বলেন, কৃষ্ণেন্দুবাবুরা পুরসভায় আসছেন না। বরং বিরোধিতা করে চলেছেন। পাল্টা কৃষ্ণেন্দু অনুগামীরা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের পুরসভার কোনও ব্যাপারে ডাকাই হচ্ছে না। তাঁদের অন্ধকারে রেখে কাজ হচ্ছে।

বিকেলে মুকুলবাবু জেলা পরিষদের অতিথি নিবাসে কোর কমিটি ও বিভিন্ন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mukul Roy TMC Group Clash
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE