Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪
Dengue

ডেঙ্গি ভয়ে শহরতলি

শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে জ্বর নিয়ে এখনও দু’শোর মতো রোগী ভর্তি রয়েছেন। তাঁদের অনেকেই ডেঙ্গি আক্রান্ত বলে চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানান, অধিকাংশেরই ডেঙ্গির উপসর্গ রয়েছে।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:৪৩
Share: Save:

ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে না আসায় চিন্তা দূর হচ্ছে না জেলা স্বাস্থ্য দফতর বা পুর কর্তৃপক্ষের। শিলিগুড়ি শহরে আক্রান্তের সংখ্যা হুহু করে বাড়ছে। শনিবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫০ জন। ইতিমধ্যেই ডেঙ্গিতে শহরে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে কারও মৃত্যু না-হলেও নার্সিংহোম এবং শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে রোগীর ভিড় কমেনি। বরং বেড়েছে।

শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে জ্বর নিয়ে এখনও দু’শোর মতো রোগী ভর্তি রয়েছেন। তাঁদের অনেকেই ডেঙ্গি আক্রান্ত বলে চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানান, অধিকাংশেরই ডেঙ্গির উপসর্গ রয়েছে। তবে সুস্থ হয়ে যাচ্ছে। জ্বর হলেই বাসিন্দাদের মধ্যে ডেঙ্গির আতঙ্ক কাজ করছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও জ্বরে আক্রান্তদের ভিড় বাড়ছে।

গোদের উপরে বিষ ফোঁড়ার মতো শিলিগুড়ির শহরতলিতেও ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়েছে। তা নিয়ে উদ্বিগ্ন মহকুমা পরিষদ কর্তৃপক্ষও। এ দিন সভাধিপতি তাপস সরকারের উদ্যোগে জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানে মহকুমাশাসক, স্কুল পরিদর্শকের দফতরের প্রতিনিধি, বিভিন্ন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। হাজির ছিলেন আশা কর্মী, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলোর প্রতিনিধিরাও। গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার ওপর জোর দিতে বলা হয়েছিল ব্লকগুলোতেও। বিশেষ করে মাটিগাড়া, নকশালবাড়ি এলাকায়। সেই কাজ কতটা হয়েছে তা নিয়ে এ দিন পর্যালোচনা করা হয়। মহকুমা পরিষদ এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬ জন। ইতিমধ্যেই মাটিগাড়ার ফাঁসিদেওয়া মোড় এলাকায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, র‌্যাপিড কার্ড টেস্টে এনএওয়ান পরীক্ষায় তাঁর শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু মিললেও ম্যাক এলাইজা পরীক্ষায় পাওয়া যায়নি।

২-৫, ১২, ১৫, ১৬, ২০, ৩৯, ২৯ নম্বরের মতো ওয়ার্ডে ডেঙ্গি এবং জ্বরে অনেকেই আক্রান্ত। স্বাস্থ্য দফতরের তরফেই জানানো হয়েছিল ৪, ৫, ১২, ১৫, ১৬, ৩৯ নম্বরে ডেঙ্গির দাপট সবচেয়ে বেশি। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে সচতনতা প্রচারের সময় বিধান মার্কেট, এসজেডিএ মার্কেটের ভিতরে জল জমে থাকতে দেখা গিয়েছে। পুর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, ৫টি বরোতে একটি করে অতিরিক্ত ধোঁয়া ছড়ানোর যন্ত্র দেওয়া হয়েছে। তেল স্প্রে করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE