যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য-সহ চার জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করল পুলিশ। রবিবার রাতে মাথাভাঙা থানায় ওই মামলা দায়ের করলেও শাসক দলের ওই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য কমল অধিকারীকে পুলিশ গ্রেফতার করেনি। অন্য দু’জন অভিযুক্তকে অবশ্য গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের ওই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, শাসক দলের নেতার নাম জড়ানোয় প্রথমে ওই মামলা নিতেই চায়নি পুলিশ। পরে চাপে পড়ে ওই মামলা নিলেও শাসক দলের নেতাকে গ্রেফতার করছে না। পুলিশের তরফে অবশ্য যুক্তি দেওয়া হচ্ছে, কমলবাবু পঞ্চায়েত সদস্য, সে জন্য তদন্ত করে কিছু প্রমাণ হাতে নেওয়ার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চান তাঁরা। কোচবিহারের পুলিশ সুপার রাজেশ যাদব বলেন, “দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।”
পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার সকালে মাথাভাঙা হাসপাতালে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয় গোপাল অধিকারী (৩৫) নামে মাথাভাঙা থানার ভোরকুলডাঙ্গার এক যুবকের। দুপুরে গোপালবাবুর স্ত্রী কণিকাদেবী থানায় গিয়ে তাঁর স্বামীকে বিষ খাইয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য কমলবাবু-সহ চারজনের নামে অভিযোগ করেন। পুলিশ সেই সময় ওই অভিযোগ নিতে চায়নি বলে কণিকাদেবীর অভিযোগ। কমলবাবু এ দিনও দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। এদিন তিনি বলেন, “আইন আইনের পথে চলবে। আমি সবরকম সাহায্য করব।’’
কমলবাবুর পাশে দাঁড়িয়েছে দলও। দলের কোচবিহার জেলা কমিটির প্রাক্তন সদস্য তথা জেলা পরিষদের সদস্য নজরুল হক দাবি করেন, শ্রমিক তৃণমূলের নেতা আলিজার রহমান চক্রান্ত করে ওই ঘটনায় কমলবাবুর নাম জড়িয়েছেন। মাথাভাঙা শ্রমিক তৃণমূলের নেতা আলিজার রহমান ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা মুখপাত্র তথা বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “কেউ অন্যায় করে থাকলে শাস্তি পাবে। পুলিশ ওই ঘটনার তদন্ত করছে। আগে থেকেই কিছু বলা যায় না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy