Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Dengue

রেফার নিয়ে জোর তরজা

এ দিন ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে শিলিগুড়ির মৈনাক ট্যুরিস্ট লজে জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, শিলিগুড়ি হাসপাতাল ও বিভিন্ন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ এবং ল্যাবরেটরির প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন পর্যটনমন্ত্রী।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৭ ০১:৩৭
Share: Save:

জ্বর ও ডেঙ্গি আক্রান্তদের রেফার করা নিয়ে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের সামনেই বুধবার বাদানুবাদে জড়ালেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও শিলিগুড়ি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে দোষারোপ ও পাল্টা দোষারোপের এই পালা।

এ দিন ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে শিলিগুড়ির মৈনাক ট্যুরিস্ট লজে জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, শিলিগুড়ি হাসপাতাল ও বিভিন্ন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ এবং ল্যাবরেটরির প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন পর্যটনমন্ত্রী। সেখানেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার মৈত্রেয়ী কর শিলিগুড়ি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যাপক হারে জ্বরের রোগীদের রেফার করার অভিযোগে সরব হন। শিলিগুড়ি হাসপাতালে সুপার অমিতাভ মণ্ডল পাল্টা জবাব দেন, ‘‘যে হারে জ্বরের রোগী আসছে তাতে মেডিসিন বিভাগের মেঝেতেও রোগী রাখার জায়গা নেই। চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যাও কম। মেডিক্যালে মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসক রয়েছেন ১৮ জন। তাছাড়া ইনটার্ন, হাউজ স্টাফরা রয়েছেন। ফিভার ওয়ার্ডেও অনেক জায়গা ফাঁকা। তাই রোগীরা সেখানে ভাল পরিষেবা পেতে পারবেন ভেবেই কিছু ক্ষেত্রে রেফার করা হয়েছে।’’

যদিও সন্তোষীনগরের বাসিন্দা কালীরাম উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালেও ঠিক মতো চিকিৎসা মিলছে না বলে করিডরের শয্যায় শুয়ে অভিযোগ করেন।

পর্যটনমন্ত্রী বলেন ‘‘শিলিগুড়ি হাসপাতাল থেকে অন্য রোগীদের রেফার করা আগের থেকে অনেক কমেছে। ডেঙ্গি, জ্বরের রোগীদের প্রয়োজন থাকলে তবেই রেফার করতে বলা হয়েছে।’’ জ্বর এবং ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে মারা গিয়েছিলেন ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাপন দে। জ্বরে আক্রান্ত অবস্থায় তাঁকে তিলক রোডের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে গেলে তারা গেট খুলতে চাননি বলে অভিযোগ ওঠে। সে প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘‘শিলিগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও পরে কেন রেফার করা হল, তা তদন্ত করে দেখা হবে। রোগীর পরিবারকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানাতে বলা হবে।’’

পরিস্থিতি সামলাতে আরও অন্তত একজন চিকিৎসক চেয়েছেন শিলিগুড়ি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল থেকে ৩ জন নার্সিং স্টাফ পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল থেকে ইতিমধ্যেই ২ জন নার্সিংস্টাফকে ২১ দিনের জন্য শিলিগুড়ি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের সুপারের কথায়, ‘‘হাসপাতালেই রোগীদের চিকিৎসা করা হচ্ছে। প্রয়োজন হলে তবেই রেফার করা হয়।’’

প্লেটলেট দেওয়া নিয়ে সমস্যা থাকায় শিলিগুড়ি হাসপাতাল থেকে অনেক রোগীকে মেডিক্যালে রেফার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। যারা নার্সিংহোমে রেখে চিকিৎসা করাচ্ছেন তারা সেবক রোডের দুই মাইলের একটি বেসরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কের উপরে নির্ভর করছেন। ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা দিয়ে এক ইউনিট প্লেটলেট কিনতে হচ্ছে তাদের। প্লেটলেটের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই শিলিগুড়ি হাসপাতালে রক্তের উপাদান পৃথকীকরণের ইউনিট খোলার দাবি উঠেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE