নিম্নমানের রাস্তা তৈরিতে বাধা পেয়ে পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়কের উপরে দলবল নিয়ে হামলা চালিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানার উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের ফুলবাড়ি এলাকার ঘটনা।
গুরুতর আহত পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক বিপ্লব লাহাকে গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করাতে হয়। সন্ধ্যায় তাঁকে ছুটি দিলেও শুক্রবার মাথার স্ক্যান করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক জানান। হামলা, মারধরের অভিযোগে পঞ্চায়েত উপপ্রধান নারায়ণ বর্মন ও তাঁর দুই সাগরেদ মইনুল মণ্ডল ও জাহাঙ্গির আলম—তিন জনের বিরুদ্ধে গঙ্গারামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
গঙ্গারামপুরের বিডিও বিশ্বজিৎ ঢ্যাং বলেন, ‘‘বুধবার এলাকায় কাজের তদারকিতে গেলে বিপ্লববাবুকে কাজের দিন নজরদারিতে না আসতে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ পেয়েছিলাম। তারপরে এ দিন নির্মাণ সহায়ক বিপ্লববাবুর উপর হামলা চালিয়ে মারধরের ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’’ দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক সঞ্জয় বসু বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে বলা হয়েছে।’’ অভিযুক্ত উদয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নারায়ণ বর্মন অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেন। তার দাবি নির্মাণ সহায়ক চেয়ার থেকে পড়ে আঘাত পান, মারধর করা হয়নি।
ওই পঞ্চায়েতের অধীন ফুলবাড়ি এলাকায় সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে প্রায় ২০০মিটার দীর্ঘ সিমেন্ট কংক্রিট রাস্তা (সিসিরোড) তৈরির বরাত পায় অভিযুক্ত উপপ্রধানের ঘনিষ্ঠ এক ঠিকাদার। বুধবার রাস্তার কাজে মাপজোক করতে গেলে বিপ্লববাবুকে অভিযুক্ত উপপ্রধানের লোকজন বৃহস্পতিবার কাজ শুরু দিন তদারকিতে তাঁকে আসতে হবে না বলে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। বিপ্লববাবুর অভিযোগ, ‘‘দুপুর ১টা নাগাদ উপপ্রধান ওই দুই সাগরদকে নিয়ে আমার উপর চড়াও হয়।’’ লাথি মেরে প্লাস্টিকের চেয়ার থেকে ফেলে দিয়ে অভিযুক্তরা বিপ্লববাবুর মাথায় ওই চেয়ার দিয়ে আঘাত করেন বলে অভিযোগ। এলাকার লোকজন জড়ো হতে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। ঘটনায় ক্ষুব্ধ তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, ‘‘সরকারি কাজে সরকারি কর্মীর উপর হামলায় অভিযুক্ত যেই হোন, দল তার পাশে দাঁড়াবে না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy