জায়ান্ট স্ক্রিনের সামনে। শিলিগুড়িতে। নিজস্ব চিত্র
শেষ ওভার পর্যন্তও আশা ছাড়ছিলেন না কেউ। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল লর্ডসের মাঠ থেকে বিশ্বকাপ নিয়ে ফিরবে এমন ছবিটাই ছকে নিয়ে ছিল সবাই। রবিবার রাত সওয়া দশটা নাগাদ ভারতীয় দলের শেষ উইকেট পড়তেই বাঘাযতীন পার্কে শোনা গেল সমবেত দীর্ঘশ্বাস।
বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখতে সেখানে জায়েন্ট স্ক্রিনে খেলা দেখার ব্যবস্থা করেছিল শিলিগুড়ি পুরসভা। খেলা শুরুর আগে থেকেই সেখানে ভিড় করেছিলেন শহরের অনেকেই।
ক্রীড়া বিভাগের মেয়র পারিষদ শঙ্কর ঘোষ বেলা তিনটায় খেলা শুরুর সময় থেকেই বসে ছিলেন জায়েন্ট স্ক্রিনের সামনে। মেয়র অশোক ভট্টাচার্য মাঝেমধ্যেই ফোন করে খবর নিচ্ছিলেন। ছিলেন ক্রিকেট নিয়ে উৎসাহী পুরসভার কর্মীদের অনেকেই। বাদ যাননি শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের কয়েকজন কর্মকর্তাও। এ দিন সকাল থেকেই শিলিগুড়ির আকাশে মেঘ ছিল। সে কারণে মাঠের একধারে রবীন্দ্র মঞ্চের ভিতরে জায়ান্ট স্ক্রিন বসানো হয়েছিল। কিন্তু বসার জায়গা ছিল খোলা মাঠেই।
মাঝেমধ্যে বৃষ্টি নামলেও তা দমাতে পারেনি উৎসাহীদের। বৃষ্টি হলেই আশেপাশে দোকান বা শেডের নীচে দাঁড়িয়ে চলছিল অপেক্ষা। ফের বৃষ্টি কমলে ভরে যাচ্ছিল মাঠে পাতা চেয়ার। খেলা যতই গড়াচ্ছিল ততই বাড়ছিল ভিড়। বেশ কয়েকটি উইকেট পড়লেও ভারতীয় দলের হেরে যাওয়ার কোনও আশঙ্কাই দেখাননি কোনও দর্শক। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা না হওয়ায় সকলের হতাশার মাত্রা যেন আরও বেশি হয়েছে।
কাজে ডুয়ার্সে থাকলেও টিভির পর্দায় চোখ রেখেছিলেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবও। খেলার শেষে তাঁর আফসোস, ‘‘শেষ পর্যন্ত আরেকটু অভিজ্ঞ ক্রিকেটার থাকলেই জেতা নিশ্চিত ছিল। এভাবে হারতে হল বলে খুবই কষ্ট হচ্ছে।’’ একই আফসোস করছেন শিলিগুড়ির মেয়র, ক্রীড়া বিভাগের মেয়র পারিষদ সকলেই। মেয়র বলেন, ‘‘জয়ের মুখে এসে এভাবে হারতে হবে ভাবিনি। বারবারই মনে হচ্ছিল জয়টা সময়ের অপেক্ষা। তাই একটা আক্ষেপ তো থাকছেই।’’
শিলিগুড়ির বাইরে রয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহার কোচ তথা শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের ক্রিকেট সচিব জয়ন্ত ভৌমিক। তিনি বলেন, ‘‘একটা বড় সুযোগ ভারতীয় মহিলা দলের হাত ছাড়া হল। তবে ঝুলনের বোলিং মন ভরিয়ে দিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy