ছয়লাপ: কোচবিহারের বাজারে ইলিশ পসরা। নিজস্ব চিত্র
অবশেষে মিলল ‘বাংলা ইলিশ’। কেউ নিলেন এক কেজি। কেউ দেড় কেজি। কেউ আবার দু’কেজি ওজনেরও একটি মাছ হাতে ঝুলিয়ে বাড়ি ফিরলেন। সকলের মুখে একটাই কথা, “বাংলা ইলিশের তুলনা নেই।”
কোচবিহারের দিনহাটার গীতালদহ সীমান্ত দিয়ে রবিবার ও সোমবার মিলিয়ে প্যাকেট বাংলাদেশের ইলিশ ঢুকেছে। এক একটি প্যাকেটে ২০ কেজির ওপরে মাছ ছিল। সেই মাছ গীতালদহের আশপাশের এলাকা তো বটেই, দিনহাটা শহরেও বিক্রি হয়েছে। মৎস্য ব্যবসায়ীদের কয়েকজন বলেন, “ওপার থেকে মাছ আসা বেশ কয়েকদিন বন্ধ ছিল। মাছ তেমন মিলছিল না বলে জানা গিয়েছে। দু-দিন থেকে মাছ আসতে শুরু করেছে।”
গত দুই সপ্তাহ ধরে ডায়মন্ডহারবার ও ওড়িশার ইলিশে ছেয়ে গিয়েছিল বাজার। এখনও আড়াইশো থেকে দুশো টাকা দরে বাজারে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। সেই ইলিশ কিনতেই বাজারে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। পাঁচশো, সাতশো থেকে এক কেজি ওজনের ইলিশ এ বারে বাজারে এসেছে। কিন্তু বাংলা ইলিশ তেমন ভাবে আসছিল না। কোনওদিন পাওয়া গেলেও তা ছিল পরিমাণে সামান্য। গত দুদিন ওই ইলিশ প্রচুর পরিমাণে ঢুকতে শুরু করেছে। দিনহাটা মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রানা গোস্বামী বলেন, “আমরা নিজেরাও সুযোগ পেলে ওই ইলিশ বাড়িতে নিয়ে আসি।” গীতালদহের বাসিন্দা মনিরুল হক বলেন, “দুদিন ধরেই ইলিশ নিয়ে আসছি বাড়িতে। দাম অনেক কম। মনে হচ্ছে উৎসব শুরু হয়েছে।”
বাংলাদেশের ওই ইলিশের দাম এবারে ৩৫০ টাকা থেকে শুরু হচ্ছে। সাত থেকে আটশো গ্রামের ইলিশ ওই দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি বা তার বড় আকারের ইলিশের দাম ৬০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে। দুই কেজি থেকে আড়াই কেজির ইলিশও এ বারে পাওয়া যাচ্ছে। ওই মাছের কেজি প্রতি হাজার টাকার উপরে। গীতালদহের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক জায়গায় উপহার হিসেবে ইলিশ পাঠিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “আমাদের বাড়ি সীমান্তে। সেই জন্যে অনেক বন্ধু আত্মীয়রা বাংলাদেশের ইলিশের কথা বলে থাকেন। এ বারে দাম অনেক কম থাকায় আমি কয়েকজনকে উপহার দিয়েছি।” দিনহাটার এক বাসিন্দার কথায়, “ওই স্বাদ জিভে লাগলে ভোলা যায় না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy