প্রিয় তারকার সঙ্গে নিজস্বী তুলতে মগ্ন এক অনুরাগী। ছবি: সন্দীপ পাল
শিলিগুড়ি শহর যখন ডার্বি জ্বরে কাঁপছে। ঠিক তখন পাশের শহর জলপাইগুড়ি মেতে থাকলো ক্রিকেটে৷ ওই খেলাকে ঘিরেই চাঁদের হাট বসল শহরে৷ রবিবার ছিল ফিল্ম স্টার একাদশের সঙ্গে জলপাইগুড়ি পুরসভা একাদশের খেলা। প্রতিদিন টিভির পর্দায় দেখা তারকাদের চোখের সামনে দেখতেই খেলার মাঠে উপচে পড়ল ভিড়।
খেলাধুলার প্রতি বর্তমান প্রজন্মের উৎসাহ বাড়াতে রবিবার টাউন ক্লাবের মাঠে টি-টোয়েন্টি প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করেছিল জলপাইগুড়ি পুরসভা৷ প্রীতি ম্যাচে একদিকে ছিল যীশু সেনগুপ্ত, রাজ চক্রবর্তীদের ফিল্ম স্টার একাদশ ও অন্যদিকে জলপাইগুড়ি পুরসভা একাদশ৷ দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ খেলা শুরু হলেও তার অনেক আগে থেকেই টাউন ক্লাবের গ্যালারিতে ভিড় জমতে থাকে। তারকাদের কাছ থেকে দেখতে অনেক উৎসাহী মূল মাঠের ভিতরে ঢোকার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে ওঠেন৷ তাঁদের আটকাতে রীতিমত হিমসিম খেতে হয় স্বেচ্ছাসেবকদের৷
নামে প্রীতি ম্যাচ হলেও, সারা ম্যাচ জুড়ে ছিল টানটান উত্তেজনা। শুরু থেকেই একে অপরকে টক্কর দিতে শুরু করে দুই দলই৷ টসে জিতে প্রথমে ফিল্ম স্টার একাদশকে ব্যাট করতে পাঠায় পুরসভা একাদশ৷ প্রথম ওভারেই ফিল্ম স্টার একাদশের একটি উইকেট পড়তেই হাততালিতে ফেটে পড়ে গোটা স্টেডিয়াম৷ তখনই যীশু সেনগুপ্তকে ব্যাট হাতে নামতে দেখে উচ্ছ্বাসে ভেসে যান একই দর্শকেরা। যীশুকে ঘিরেই এ দিন সবচেয়ে বেশি উন্মাদনা ছিল দর্শকদের মধ্যে৷ কিন্তু সবাইকে হতাশ করে ছয় বলে মাত্র তিন রান করেই আউট হয়ে যান তিনি৷ গোটা স্টেডিয়ামে তখন চরম হতাশার ছবি৷ সবার দাবিতে পরের দিকে ফের ব্যাট করতে নামতে হয় তাঁকে। তবে সেবারও বেশি রান পাননি তিনি৷ ছয় বলে মাত্র চার রান করেই ফিরতে হয় তাঁকে৷ ফিল্ম স্টার একাদশের সুশীল শিখারিয়ার ২৪ বলে ৩৪ ও শতদীপের ৩৩ বলে ৩০ রানের সুবাদে শেষ পর্যন্ত কুড়ি ওভাবে নয় উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান তোলেন তাঁরা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪৫ রানেই পাঁচটি উইকেট পড়ে যায় পুরসভার৷ তারপর প্রসেনজিত দাস ও সুনীলকান্ত শর্মার ব্যাটে ভর করে তিন ওভার বাকি থাকতেই ছয় উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় পুরসভা একাদশ৷ পায়ে চোট লাগার জন্য ৫২ বলে ৫১রান করে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় প্রসেনজিতকে৷ সুনীলকান্ত ২৫ বলে ৩৯ রান করেন৷ ব্যাট করতে না নামলেও, শেষের দিকে ম্যাচে ফিল্ডিং করতে নামেন রাজ চক্রবর্তী৷ রাজ বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গ বরাবরই আমার প্রিয়৷ আজ জলপাইগুড়িতে এসেও খুব ভাল লাগছে৷
এ দিন খেলা শেষ হতেই প্রিয় তারকাদের সঙ্গে নিজস্বী তোলার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায় দর্শকদের মধ্যে৷ নিরাপত্তা ভেঙে অনেকেই মাঠের মধ্যে ঢুকে পড়েন৷ পুলিশ কোনওমতে তারকাদের মাঠ থেকে বের করে নিয়ে যায়৷ যীশু বলেন, ‘‘জলপাইগুড়িতে বহুবার এসেছি৷ এবারই প্রথম খেলতে এলাম৷ যেভাবে ভালবাসা পেলাম তাতে খুব ভাল লাগছে৷’’ বাসিন্দারা খেলা উপভোগ করেছেন, সেটাই বড় প্রাপ্তি বলে জানান জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy