বিকেল থেকেই বাজছিল সানাই। ছাদনাতলাতেও পড়েছিল আবিরের আল্পনা। সন্ধেয় প্রতিবেশীদের উপস্থিতিতে গমগম করছিল বিয়েবাড়ি। কনের সাজে সেজে পাত্রীও বসেছিল একটি ঘরে। রাত ১০টায় বিয়ের লগ্ন। পাত্রের আসার অপেক্ষা শুধু। আটটা থেকে শুরু হয় খাওয়া-দাওয়াও। প্রথম ব্যাচের খাওয়াও শেষ। সে সময়ই মোথাবাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ বাহিনী গিয়ে হাজির। অভিযোগ, ১৪ বছরের নাবালিকার বিয়ে হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত ১৮ বছরের আগে মেয়ের বিয়ে দেবেন না বলে পাত্রীর বাবার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়েই বন্ধ করে দেওয়া হয় সেই বিয়ে।
এই ঘটনা রবিবার রাতে কালিয়াচক ২ ব্লকের মোথাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুগ্রামে। পুলিশ ওই একই গ্রামে থাকা পাত্রেরও বাড়ি গিয়েছিল। সে সময় কনের বাড়িতে আসার জন্য পাত্র সহ বরযাত্রীদের তোড়জোড় চলছিল। সেখানেও বিয়ে বন্ধের বিষয়টি জানিয়ে আসে পুলিশ। ফলে পাত্রপক্ষ আর যায়নি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুগ্রামের এক ব্যক্তির ১৪ বছরের মেয়ের সঙ্গে রবিবার রাতে ওই গ্রামেরই আর এক প্রান্তের বাসিন্দার ছেলের বিয়ে ছিল। পাত্রী অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া।
মোথাবাড়ি ফাঁড়ির ওসি রামপ্রকাশ চাকলাদার জানিয়েছেন, রবিবার রাত ৮টা নাগাদ খবর পান, যে বালুগ্রামে নাবালিকার বিয়ে হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশকর্মীদের নিয়ে গিয়ে বয়সের প্রমাণপত্র দেখে বুঝতে পারেন কিশোরীর বয়স ১৪ বছর। তখন বিয়ে রোখা হয়।
জেলা সমাজকল্যাণ আধিকারিক অসীমকুমার রায় বলেন, ‘‘আমরাও মেয়ের বাড়িতে গিয়ে এ ব্যাপারে কাউন্সেলিং করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy