Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

লুঠেরার সঙ্গিনী! সন্ধানে পুলিশ

শুক্রবার সন্ধ্যায় হিলকার্ট রোডের ঘটনার পরে ধৃতদের সম্পর্কে খোঁজখবর শুরু হয়। ডাকাতির জন্য ধৃতেরা যে গাড়িটি ‘কার রেন্টাল সার্ভিস’ থেকে অনলাইনে বুকিং করেছিল, সেই সংস্থা থেকে অভিযুক্তদের টেলিফোন নম্বর এবং তাদের সম্পর্কে আরও বিভিন্ন তথ্য পুলিশ জোগাড় করে। সেগুলি খতিয়ে দেখার সময়ই তরুণীর পরিচয় সামনে আসে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কৌশিক চৌধুরী
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:২০
Share: Save:

শহরের সোনার দোকানে ডাকাতির চেষ্টার তদন্তে নেমে মণিপুরী দুষ্কৃতীদের এক সঙ্গিনীর হদিশ পেল পুলিশ। শিলিগুড়ির এক বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ওই যুবতীর সঙ্গে ধৃত তিন জনের মধ্যে একজনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলেও তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। এমনকী, ওই অভিযুক্ত তাঁকে স্ত্রী হিসাবে বিভিন্ন এলাকায় পরিচয়ও দিয়েছেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় হিলকার্ট রোডের ঘটনার পরে ধৃতদের সম্পর্কে খোঁজখবর শুরু হয়। ডাকাতির জন্য ধৃতেরা যে গাড়িটি ‘কার রেন্টাল সার্ভিস’ থেকে অনলাইনে বুকিং করেছিল, সেই সংস্থা থেকে অভিযুক্তদের টেলিফোন নম্বর এবং তাদের সম্পর্কে আরও বিভিন্ন তথ্য পুলিশ জোগাড় করে। সেগুলি খতিয়ে দেখার সময়ই তরুণীর পরিচয় সামনে আসে।

পুলিশের অনুমান, মণিপুর থেকে আসার পরে দুষ্কৃতীরা নেপাল ও শিলিগুড়ি মিলিয়ে চার দিন ছিল। এই সময়ের মধ্যে মহিলার ঠিকানায় ঘাঁটি গেড়েই অভিযুক্তরা অন্তত ৪টি সোনার দোকানে নজরদারি শুরু করে।

রবিবার মহিলার ঠিকানা, পরিচয় পুলিশ কাছে আসার পরে তাকে খুঁজে বার করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ডাকাতির ঘটনায় ওই মহিলার কোনও প্রত্যক্ষ যোগাযোগ না পাওয়া গেলেও তাঁর বাড়িতে ঘাঁটি গেড়েই ওই ডাকাতির পরিকল্পনা তৈরি হয়েছে বলেই তদন্তকারীদের সন্দেহ হয়েছে।

শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার নীরজ কুমার সিংহ বলেন, ‘‘তদন্তে এক মহিলার সম্পর্কে জানা গিয়েছে। এ শহরের বাসিন্দা ওই মহিলার খোঁজ শুরু হয়েছে। আরও বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে, আমরা সবদিক খতিয়ে দেখছি।’’

এ দিনই কলকাতা পুলিশের পাশাপাশি অসম পুলিশের একটি দল শিলিগুড়ি পৌঁছে গিয়েছে। কলকাতায় গত জুলাই মাসে যোধপুর পার্ক এলাকার সোনার দোকানে এই দলটিও জড়িত বলে কলকাতা পুলিশের অনুমান। হেলমেট ও মাস্ক পড়ে চার দুষ্কৃতী ২০ লক্ষ টাকার গয়না লুঠ করেছিল। অসম ও কলকাতা পুলিশের অফিসারেরা ধৃতদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছেন। তেমনই, মণিপুরেও ধৃতদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও লুঠের মামলা রয়েছে বলে শিলিগুড়ি পুলিশ জানতে পেরেছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, তিনজনই কয়েক দফায় অসম, মণিপুরে গ্রেফতারও হয়েছে। জামিনে মুক্তির পরেই দলটি এ রাজ্যে হানা দেওয়া শুরু করে বলেই অফিসারেরা মনে করছেন। ধৃতদের তথ্য ইতিমধ্যে মণিপুর এবং অসমে পাঠানো হয়েছে। অসম পুলিশ তা দেখেই শহরে এসেছে।

ডাকাতির চেষ্টার ঘটনার পর শিলিগুড়ি পুলিশের একটি ‘স্পেশাল টিম’ গঠন করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াও কার রেন্টালের তথ্য, নথিপত্র, মোবাইলের তথ্য সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দলটির কয়েকজন অফিসার কয়েকদিনের মধ্যে মণিপুর এবং অসমে যাবেন। সমস্ত পুরানো মামলার নথিপত্র শিলিগুড়ি আনা হবে।

কমিশনারেটের এক শীর্ষ কর্তা জানান, দলটি উত্তর পূর্বাঞ্চল থেকে পশ্চিমবঙ্গ, নেপাল অবধি পুরোপুরি সক্রিয় তা বোঝা গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE