তাণ্ডব: ভাঙচুরের পরে ক্লাসের অবস্থা। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব
স্কুলের মাঠে মদের আসর বসানো হয়। পাশাপাশি এলাকায় বেআইনি মদ বিক্রিও চলে। তার প্রতিবাদ জানানোয় দিন দু’য়েক আগে কয়েকজন যুবকের সঙ্গে তুমুল তর্কাতর্কি হয় একটি প্রাথমিক স্কুলের প্রধানশিক্ষক মঙ্গল দে-র। এমনকী তাঁকে হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। পুলিশে অভিযোগ জানান প্রধানশিক্ষক। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ এলাকায় বেআইনি মদ বিক্রিতে জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করে। আর সেই রাতেই স্কুল ভাঙচুর হল কোচবিহারের গ্রামে।
অভিযোগ, বেআইনি মদ কারবারের প্রতিবাদের জেরেই ঢাংঢিংগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের রসেরকুঠি স্পেশাল ক্যাডার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভাঙচুর হয়। যদিও এমন ঘটনার পরেও শুক্রবার স্কুল হয়েছে। একটি ঘরে দুটি শ্রেণির পড়ুয়াদের বসানো হয়।
ওই প্রধান শিক্ষক মঙ্গল দে বলেন, “মদ বিক্রি, মদের আসর বসানোর প্রতিবাদের জেরেই স্কুল ভাঙচুর হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। যদিও স্কুল, মিড ডে মিল সবই অন্য দিনের মতো হয়েছে।” স্কুলের ভিলেজ এডুকেশন কমিটির সভাপতি মাধবী দে বলেন, “উদ্বেগজনক ব্যাপার।” পুণ্ডিবাড়ি সার্কেলের প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছেন।
গোটা ঘটনায় পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে অভিভাবকদের একাংশের। তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় বেআইনি মদ কারবারের রমরমা নতুন নয়। যাঁরা এমন কাণ্ড করতে পারে, তারা স্কুল চলাকালেও তাণ্ডব চালাতে পারে। তাই ছোটদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা বেড়েছে।
তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কোচবিহার জেলা সভাপতি দেবাশিস কর বলেন, “কিছু মানুষ শিক্ষার সুস্থ পরিবেশ নষ্ট করতে চাইছে। পুলিশকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছি।” কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “সব অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ দিকে, পুণ্ডিবাড়ির মধ্য কালা রায়ের কুঠি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসঘরের তালা ভেঙে কেউ নোংরা আর্বজনা ফেলে গিয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে লাইট, আসবাবপত্র, জলের কল, দেওয়াল ঘড়ি। প্রধানশিক্ষক রাজেন দে বিষয়টি নিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy