Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

অভিযোগের মুখে সরে দাঁড়াতে চান অধ্যক্ষ

তাঁকে ছাত্ররা না চাইলে তিনি সরে যাবেন বলে এর পরেই জানিয়ে দেন অধ্যক্ষ। ঘনিষ্ঠ মহলে অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, তিনি মৌখিক ভাবে যা জানানোর জানিয়ে দিয়েছেন। ইদের জন্য কলেজ সোমবারও ছুটি থাকবে। এর পর কলেজ খুললেই তিনি ইস্তফাপত্র দিয়ে দেবেন।

উত্তরবঙ্গ ডেন্টাল কলেজ। ফাইল চিত্র।

উত্তরবঙ্গ ডেন্টাল কলেজ। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৭ ০৩:১৯
Share: Save:

লাগাতার অভিযোগের মুখে পড়ে পদ থেকে সরে দাঁড়াতে চাইছেন উত্তরবঙ্গ ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ সৌমেন চক্রবর্তী।

পড়ুয়াদের অভিযোগ, কলেজের সময় দফতরে অধিকাংশ সময়ই তিনি থাকেন না। দাবি, ছাত্রদের বিভিন্ন সমস্যার বিষয়গুলি তাঁকে জানালেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন না। অধ্যক্ষের উদাসীনতাতেই ২০১৫-২০১৬ আর্থিক বছরে লাইব্রেরি তৈরির টাকা ফেরত চলে যাওয়ার মতোও নানা অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে তুলেছেন পড়ুয়ারা। কলেজের প্রোগ্রেসিভ জুনিয়র ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন আন্দোলনে নেমেছে। আগেও নানা সময় তারা অভিযোগ তুলেছেন অধ্যক্ষের কাজকর্ম নিয়ে। গত ৯ জুন তারা একটি স্মারকলিপিও দেয়। তার পর থেকে মাঝে মধ্যেই অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। কলেজের উন্নয়নে কাজ না করলে গত শুক্রবার এবং শনিবার অবস্থান বিক্ষোভ করে অধ্যক্ষের ইস্তফা দাবি করেন তারা।

তাঁকে ছাত্ররা না চাইলে তিনি সরে যাবেন বলে এর পরেই জানিয়ে দেন অধ্যক্ষ। ঘনিষ্ঠ মহলে অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, তিনি মৌখিক ভাবে যা জানানোর জানিয়ে দিয়েছেন। ইদের জন্য কলেজ সোমবারও ছুটি থাকবে। এর পর কলেজ খুললেই তিনি ইস্তফাপত্র দিয়ে দেবেন। এ ধরনের চাপ তিনি নিতে চাইছেন না। তা ছাড়া তিনি কলেজের উন্নয়নের জন্য সব সময়ই চেষ্টা করছেন বলে দাবি করেছেন।

অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘যা জানানোর জানিয়ে দিয়েছি। ছুটিতে রয়েছি। কী করেছি, কলেজ খুললেই সকলে পরিষ্কার বুঝতে পারবেন।’’ উত্তরবঙ্গ ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য জানান, অধ্যক্ষ ইস্তফা দেবেন বলে তাঁকে কেউ জানায়নি।

ডেন্টাল কলেজের সমস্যা নিয়ে রোগীরাও অনেকে একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অভিযোগ, স্বাস্থ্যভবন থেকে আধিকারিকরা এসে অধ্যক্ষকে দফতরে না পাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

প্রোগ্রেসিভ জুনিয়র ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের অভিযোগ, হাসপাতাল এবং কলেজ সাফাই থেকে শুরু করে সবেতেই সমস্যা। বহির্বিভাগে চিকিৎসার সরঞ্জাম পর্যন্ত ঠিক মতো মেলে না। ল্যাবরেটরিতে টেকনিশিয়ানের অভাব। প্রতি সপ্তাহে অধ্যক্ষ সোমবার, মঙ্গলবার থাকেন না। জানতে চাইলে কোনও বার বলেন স্বাস্থ্য ভবনে মিটিংয়ে রয়েছেন, কখনও বলেন ছুটিতে রয়েছেন। সংগঠনের সভাপতি সৌম্যদীপ খাড়া বলেন, ‘‘কলেজ, হাসপাতালের সমস্যা মেটাতে না-পারলে উনি থেকে কী করবেন? আমরা তাই ওঁর
পদত্যাগ চেয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE