Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

স্কুলকে ছাড় দিতে আর্জি

চলতি মাসের মধ্যেই দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন সেরে ফেলতে হবে। নয়া নিয়মে এ বছর রেজিস্ট্রেশনে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক বলে পড়ুয়াদেরও উপস্থিতি আবশ্যিক। কিন্তু লাগাতার বন্‌ধ চলতে থাকায় স্কুলগুলিও বন্ধ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৭ ০৩:২৪
Share: Save:

পাঁচ হাজার পড়ুয়ার যাতে বছর নষ্ট না হয়, তার জন্য বন্‌ধে ছাড় দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছে পাহাড়ের বিভিন্ন স্কুল। দ্রুত পাহাড়ে পড়াশোনার পরিবেশ ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি নিয়ে মোর্চার কাছে আবেদন জানানোর পাশাপাশি রাজ্য ও কেন্দ্রের দ্বারস্থ হচ্ছেন স্কুলের অধ্যক্ষরা। শুক্রবার দার্জিলিঙের ৬৫টি আইসিএসই স্কুলের অধ্যক্ষ এবং প্রতিনিধিরা শিলিগুড়িতে বৈঠক করেন।

চলতি মাসের মধ্যেই দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন সেরে ফেলতে হবে। নয়া নিয়মে এ বছর রেজিস্ট্রেশনে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক বলে পড়ুয়াদেরও উপস্থিতি আবশ্যিক। কিন্তু লাগাতার বন্‌ধ চলতে থাকায় স্কুলগুলিও বন্ধ। তাছাড়া পাহাড়ে এখন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। সে কারণে পড়ুয়ারা উপস্থিত থাকলেও রেজিস্ট্রেশন সম্ভব নয়। এ বছর বোর্ডের পরীক্ষা দেবে পাহাড়ের অন্তত ৫ হাজার পরীক্ষার্থী। তারমধ্যে শতকরা ৪০ ভাগ পড়ুয়াই বাইরের।

এ দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মোর্চা সহ পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলি এবং রাজ্য-কেন্দ্র সরকারের কাছে বন্‌ধ তুলতে পদক্ষেপ করার আর্জি জানানো হবে। বিকল্প হিসেবে, শিলিগুড়িতে ক্যাম্প করে বোর্ডের পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে। শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার হোটেলে এ দিন বৈঠকে বসেছিলেন পাহাড়ের স্কুলগুলির প্রতিনিধিরা। পরে এক অধ্যক্ষ জানান, এই মুহূর্তে তাঁদের আবেদনকে বন্‌ধ বিরোধী মনে করে আন্দোলনকারীদের কেউ কেউ স্কুলে চড়াও হতে পারেন। তাই তাঁরা সংবাদমাধ্যমে সরকারি ভাবে কিছু বলতে রাজি নন।

পাহাড়ে গরমের ছুটি গত ৮ জুলাই শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বন্‌ধের জন্য গরমের ছুটির মেয়াদ অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সব ক্লাসের পঠনপাঠনে ক্ষতি হলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ বেশি চিন্তিত নবম এবং একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে। কার্শিয়াঙের একটি স্কুলের অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘রাজনীতির জন্য পড়ুয়াদের বছর নষ্ট হয়ে যাবে এটা মানা যায় না।’’

অভিভাবকদের কাছে পাহাড়ের মিশনারি স্কুলগুলির আকর্শন বরাবরের। প্রতি বছর সমতলের বহু ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করতে যায় এই স্কুলগুলিতে। ভিন রাজ্য থেকে আসা পড়ুয়ার সংখ্যাও কম নয়। আন্দোলনের হিড়িকে স্কুলগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের পঠনপাঠন নিয়ে তাই গাঢ় হচ্ছে আশঙ্কার মেঘ।

মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতা অবশ্য বলেন, ‘‘আগামী সর্বদল বৈঠকে আলোচনা হতে পারে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE