বন্ধ রেশম প্রক্রিয়াকরণ কারখানার সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন আইএনটিটিইউসি কর্মীরা। — নিজস্ব চিত্র
মালিকপক্ষ কারখানা বন্ধের নোটিস দিয়েছিল বছরের শুরুতেই। ১৫ জুলাই মালদহ জেলা শ্রম দফতরে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে মালিকপক্ষের সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহরও পড়ে। পুরোপুরি বন্ধ হয় মালদহের অমৃতিতে থাকা রেশম প্রক্রিয়াকরণের কারখানাটি।
তবে, সে দিনের ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ২০ অগস্টের মধ্যে মালিকপক্ষ কারখানার ৮৮ জন শ্রমিক ও কর্মীদের পাওনা-গণ্ডা মিটিয়ে দেবেন। কিন্তু সেই সময়সীমার পর ১৯ দিন কেটে গেলেও কোনও পাওনা-গণ্ডা শ্রমিক ও কর্মীরা পাননি বলে অভিযোগ। একেই সাত মাস ধরে বেতন নেই, তার ওপর বকেয়া পাওনাও না মেলায় কারখানার শ্রমিক-কর্মীরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। তাঁরা পরিবার পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে রয়েছেন। কেউ কেউ কারখানার ভেতরে গজিয়ে ওঠা কচুপাতা তুলে শাক-ভাত খাচ্ছেন।
শুক্রবার সকাল থেকে কারখানার সামনে বিক্ষোভও শুরু করেছেন তাঁরা। ওই শ্রমিক-কর্মীরা সকলেই তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির সদস্য। শুধু তাই নয়, শ্রমিকরা এ দিন কারখানার ভিতরে গরুও ঢুকিয়ে দিয়েছেন। হুমকি দিয়েছেন, পাওনা না মেটানো হলে কারখানার জমি দখল করে নেওয়া হবে।
সংগঠনের শ্রমিক-কর্মীরা ওই হুমকি দিলেও আইএনটিটিইউসির মালদহ জেলা সভাপতি মানব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শ্রমিকরা ক্ষোভে, হতাশায় হয়ত ওই সব বলছেন। আমি কালই ওই শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। শ্রম দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলে হবে। কী ভাবে ওই শ্রমিকদের পাওনা আদায় করা যায়, তার চেষ্টা চলছে।’’ জেলা শ্রম দফতরের সহকারী কমিশনার দেবু কর বলেন, ‘‘১৫ জুলাইয়ের ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে কারখানাটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়। মালিকপক্ষ ২০ অগস্টের মধ্যে শ্রমিক-কর্মীদের বকেয়া পাওনা মিটিয়ে দেবে বলে চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।’’ তিনি জানান, শ্রমিকদের পাওনা না মেটানোর বিষয় তাঁকে কেউ জানায়নি।
মালিকপক্ষের পক্ষে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে হাজির থাকা কমল শর্মাকে এদিন কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি মোবাইল না ধরায় কর্তৃপক্ষের কোনও বক্তব্য জানা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy