Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

সিসি ক্যামেরার প্রস্তাব পাশ হল

নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যাম্পাসে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানোর প্রস্তাব কর্মসমিতিতে পেশ করে অনুমোদন করানো হল। শনিবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্ম সমিতির বৈঠকে তা পেশ করেন উপাচার্য। বৈঠকে তা পাশও হয়।

অবাধ: বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে বাধাহীন যাতায়াত। নিজস্ব চিত্র

অবাধ: বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে বাধাহীন যাতায়াত। নিজস্ব চিত্র

সৌমিত্র কুণ্ডু
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৭ ০২:১৭
Share: Save:

নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যাম্পাসে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানোর প্রস্তাব কর্মসমিতিতে পেশ করে অনুমোদন করানো হল। শনিবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্ম সমিতির বৈঠকে তা পেশ করেন উপাচার্য। বৈঠকে তা পাশও হয়।

ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্ন উঠেছে। দিন কয়েক আগে জীবনব্যাপী শিক্ষা এবং সম্প্রসারণ বিভাগের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে একটি অনুষ্ঠানে রাজ্যের শিশু বিকাশ, মহিলা এবং সমাজ কল্যাণ দফতরের সচিব রোশনি সেনের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের যৌন হেনস্থা হতে হওয়া নিয়ে অভিযোগ তোলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্রী শ্রাবন্তী বসাক। ছাত্রীরা নিজেরাই যাতে আত্মরক্ষা করতে পারে সে ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা করা হচ্ছে কি না জানতে চান। তা করা দরকার জানিয়ে রোশনি দেবী জানিয়েছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই বলতে পারবেন তাঁরা কী করবেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে তখন কিছু জানানো হয়নি।

এর পরেই এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতিতে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানোর প্রস্তাব পাশ করানো তাৎপর্যপূর্ণ। উপাচার্য সোমনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘নিরাপত্তার বিষয়টি সব সময়ই গুরুত্ব দেওয়া হয়। সিসিটিভি বসানোর বিষয়টি কর্মসমিতিতে পাশ করিয়ে রাখা হচ্ছে। ওই কাজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তহবিল বা রাজ্য সরকারের অর্থ সাহায্যে যে ভাবে টাকা মিলবে সেই মতো কয়েক দফায় ওই ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।’’

ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ভাঙা সীমানা পাঁচিল এবং নিরাপত্তা রক্ষীরা ঠিক মতো কাজ না করার অভিযোগ রয়েছে। সন্ধ্যার পর নিরাপত্তারক্ষীরা অধিকাংশই টহলদারিতে থাকেন না বলে অভিযোগ। ক্যাম্পাসে ভানুভক্তি মঞ্চের পিছনের রাস্তায় সম্প্রতি এক ছাত্রীর হাত ধরে টানাটানি করে বহিরাগত এক যুবক। তার আগেও একাধিকবার শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। তার পরেও কেন নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসানো হচ্ছে না তা নিয়ে পড়ুয়া-শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী সব মহলই সরব হয়। শিক্ষামন্ত্রীও জানিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল জমিয়ে রাখার জন্য নয়। অর্থ থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফেই সেই কাজ করা উচিত। এদিন কর্মসমিতির সভা চলাকালীন রাত পর্যন্ত তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে সভাকক্ষের বাইরে করিডরে অবস্থান করেন সারা বাংলা শিক্ষাবন্ধু কর্মচারী সমিতি। অন্যান্য দাবির সঙ্গে নিরাপত্তার দাবির বিষয়টিও তাঁরা তুলেছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

CCTV
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE