Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

গোর্খাল্যান্ডের দাবি সমর্থন রামদেবের

প্রত্যাশিতভাবেই গোর্খাল্যান্ডের পক্ষে সওয়াল করলেন যোগগুরু রামদেব। তিনদিনের যোগা শিবিরে যোগ দিতে রামদেব দার্জিলিঙে এসেছেন। শুক্রবার সকালে চৌরাস্তায় দিল্লির একটি সংস্থার উদ্যোগে ওই শিবিরের সূচনা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার তিনি পাহাড়ে পৌঁছন। মোর্চার তরফে গোর্খা রঙ্গমঞ্চে তাঁকে স্বাগত জানানো হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দার্জিলিং শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৫ ০২:৩২
Share: Save:

প্রত্যাশিতভাবেই গোর্খাল্যান্ডের পক্ষে সওয়াল করলেন যোগগুরু রামদেব। তিনদিনের যোগা শিবিরে যোগ দিতে রামদেব দার্জিলিঙে এসেছেন। শুক্রবার সকালে চৌরাস্তায় দিল্লির একটি সংস্থার উদ্যোগে ওই শিবিরের সূচনা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার তিনি পাহাড়ে পৌঁছন। মোর্চার তরফে গোর্খা রঙ্গমঞ্চে তাঁকে স্বাগত জানানো হয়। সেখানে জিটিএ চিফ বিমল গুরুঙ্গও উপস্থিত ছিলেন। দুই জনই প্রথম দিন গোর্খাল্যান্ড নিয়ে কোনও কথাই বলেননি। এদিন রামদেব শুধু নয়, আলাদা রাজ্য নিয়ে মুখে খোলেন বিমল গুরুঙ্গও। তিনি রাজ্যের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে তুলে ধরতে যোগগুরুকে অনুরোধও করেন।

রামদেব বলেন, ‘‘গোটা দেশে এলাকা এবং ভাষার ভিত্তিতে রাজ্য গঠন যথাযথ। গুজরাতিদের জন্য গুজরাত, তেলেগুদের জন্য তেলঙ্গানা তৈরি হয়েছে। তাহলে গোর্খাদের জন্য গোর্খাল্যান্ড নয় কেন? নানা সময় অভিযোগ তোলা হয়, এই এলাকার নেপালি ভাষাভাষিদের অনেকেই না কি নেপাল থেকে এসেছেন। এটা সঠিক নয়।’’ তিনি জানান, নেপালি ভাষা ভারতের অন্য ভাষার মতোই একটি ভাষা। সুতরাং একে সামনে রেখে আলাদা রাজ্যের দাবি ওঠাটা খুবই স্বাভাবিক। বহু গোর্খা সৈনিক দেশের জন্য প্রাণও দিয়েছেন। এটা কোনও সময়ই ভুলে গেলে চলবে না। গোয়ার মতো ১৫-১৬ লক্ষ মানুষের এলাকা যদি রাজ্য হতে পারে, তাহলে দার্জিলিং পাহাড় কেন নয়?

রামদেব ছাড়াও শিবিরে ছিলেন আরেক যোগগুরু বালকৃষ্ণ। তিনি জানান, তিনি শুনেছেন দার্জিলিং পাহাড়ে না কি নানা ধরনের উন্নয়ন পর্যদ এবং বোর্ড তৈরি হয়েছে। এগুলি সবই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি করার রাজনীতি। পাহাড়ের মানুষকে এ সব থেকে সচেতন থাকতে বলব। সবাইকে বলব, একজোট হয়ে নিজেদের লক্ষ্য স্থির রাখতে। এরপরেই অনুষ্ঠানে জিটিএ চিফ গুরুঙ্গ বলেন, ‘‘আমরা রামদেবকে গোর্খাল্যান্ড নিয়ে বলার জন্য কোনও কিছুই বলিনি। কোনও স্মারকলিপিও দিইনি। উনি নিজেই যা বলেছেন তা এই অঞ্চলের মানুষের কাছে আশীর্বাদ। আসলে ভোটের সময়ই অনেকেরই পাহাড়ের দাবির কথা মনে পড়ে। আমাদের আশা, প্রধানমন্ত্রীর কাছে রামদেব গোর্খাল্যান্ডের বিষয়টি তুলবেন। আর প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবি পূরণও করবেন।’’

শনিবার এবং রবিবার প্রতিদিন সকাল সাড়ে সাতটা থেকে চৌরাস্তায় রামদেবের যোগা শিবির হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE