Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

খুলল বাগান, বেতন জুলাইয়ে

২০০২ সালে প্রথম বন্ধ হয় বাগানটি। পরে ২০১০ সালের শেষের দিকে খোলে। তার পরে আবার ১৫ দিনের জন্য বন্ধ হয়ে ফের খোলে। শেষ বার মজুরি নিয়ে অসন্তোষে ফের বন্ধ হয় চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি। এ দিন ফের তা খুলল।

ছন্দে: কাজ চলছে রামঝোরা বাগানে। ছবি: রাজকুমার মোদক

ছন্দে: কাজ চলছে রামঝোরা বাগানে। ছবি: রাজকুমার মোদক

নিজস্ব সংবাদদাতা
বীরপাড়া শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৭ ০৩:০২
Share: Save:

চার মাস বন্ধ থাকার পর বুধবার ফের খুলল ডুয়ার্সের বীরপাড়ার রামঝোরা চা বাগান। বাগান খোলায় খুশি শ্রমিকেরা। ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী আগামী ১ জুলাই শ্রমিকদের ফেব্রুয়ারির বকেয়া মজুরি ও কর্মীদের বেতন দেওয়া হবে। বর্তমানে ১৩২.৫০ টাকা করে শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া হবে। বাগান বন্ধের আগে মজুরি দেওয়া হতো ১২২ টাকা।

২০০২ সালে প্রথম বন্ধ হয় বাগানটি। পরে ২০১০ সালের শেষের দিকে খোলে। তার পরে আবার ১৫ দিনের জন্য বন্ধ হয়ে ফের খোলে। শেষ বার মজুরি নিয়ে অসন্তোষে ফের বন্ধ হয় চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি। এ দিন ফের তা খুলল।
বাগানে ৯৭৭ জন শ্রমিক থাকলেও বন্ধ থাকার সময় অনেকে বাইরে কাজে চলে গিয়েছেন। এখন তাঁরা ফিরবেন বলে বিশ্বাস বাগান কর্তৃপক্ষের। এ দিন প্রায় ৫০০ জন কাজে যোগ দিয়েছেন। এ দিন বাগান খুললেও পাতা তোলা শুরু হয়নি। কয়েক দিন ধরে চা বাগানের ভিতর ভরে ওঠা আগাছা পরিষ্কারের কাজ চলবে। তার পরেই পাতা তোলা শুরু হবে।
বাগান খুললেও বাগানের কর্মী আবাসন, অফিস ও বাংলোয় বিদ্যুৎ নেই গত চার মাস ধরে। বাগান কর্তৃপক্ষ ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, বিগত দিনের বিদ্যুতের কোনও বকেয়া নেই। অথচ আবাসনে বিদ্যুৎ না থাকায় গরমে খুব কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে। বীরপাড়া ব্লক আইএনটিটিইউসি নেতা নকুল সোনার বলেন, “আমরা বিদ্যুৎ বণ্টন অফিসে বার বার জানালেও আবাসনগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিচ্ছে না। এখন তো বাগান খুলল। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকলে কাজ করতে খুব অসুবিধা হবে।”
বাগানের ম্যানেজার রামপ্রমোদ ঠাকুর বলেন, “আর পিছনে তাকিয়ে লাভ নেই। এ বার মালিক শ্রমিকেরা মন দিয়ে বাগানের কাজ করব। শ্রমিকদের ফেব্রুয়ারির বকেয়া মজুরি ও কর্মীদের বকেয়া বেতন ১ জুলাই দেওয়া হবে। বাগানে যথেষ্ট পরিমাণে পাতা উৎপাদন শুরু হলে কারখানা চালু করা হবে।”
এ দিন কাজ শুরু হওয়ার পরে খুশি বাগানের শ্রমিকেরা। পুজোর আগে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছেন তাঁরা। তবে শ্রমিক রূপা ছেত্রী, সাইলি ছেত্রীরা বলছেন, “বাগান খোলায় আমরা খুশি। কিন্তু ভয় করে রামঝোরা চা বাগান আগের মতো আবার বন্ধ হয়ে না যায়!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE