Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

স্কুলের মেনুতে ডিম বাদ

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিনই খড়্গপুরের সভায় বলেছেন, চুটিয়ে ডিম খান। আর এ দিনই প্লাস্টিক ডিমের আতঙ্কে কোপ পড়ল স্কুলগুলির মিড ডে মিলে।

•পরীক্ষা: শিলিগুড়িতে। নিজস্ব চিত্র

•পরীক্ষা: শিলিগুড়িতে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ ও রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৫৭
Share: Save:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিনই খড়্গপুরের সভায় বলেছেন, চুটিয়ে ডিম খান। আর এ দিনই প্লাস্টিক ডিমের আতঙ্কে কোপ পড়ল স্কুলগুলির মিড ডে মিলে। এই ধাক্কায় এক দিকে মালদহের ইংরেজবাজার, অন্য দিকে উত্তর দিনাজপুরের একাধিক এলাকার সরকারি স্কুলে মিড ডে মিলের মেনু থেকে উধাও ডিম। শিক্ষকরা বলছেন, ডিম খেয়ে যদি কোনও ছাত্র অসুস্থ হয়, তার দায় কে নেবে!

ইংরেজবাজার পুরসভা সূত্রে খবর, গত রবিবার শহরের বিদ্যাসাগর পল্লিতে এক বাড়িতে প্লাস্টিক ডিম পাওয়া গিয়েছে বলে গুজব ছড়ায়। এই অবস্থায় স্কুলগুলিতে মিড ডে মিলে ডিম খাওয়ানো হবে কি না, তা নিয়ে শিক্ষকমহলে সংশয় তৈরি হয়েছিল। সোমবার দুপুরে পুরসভার খাদ্য সুরক্ষা বিভাগ ও অন্য আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ। তিনি পুরসভা এলাকার সমস্ত বাজারে নিয়মিত পরিদর্শনের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে দুটি কমিটি গঠন করা হয় বাজার গুলিতে নজরদারি চালানোর জন্য। তখনই ঠিক হয়, পুরসভার অধীনস্ত মোট ১০৬টি প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়গুলিতে মিড ডে মিলে সাত দিনের জন্য ডিম বন্ধ রাখা হবে।

প্রায় একই ছবি পড়শি জেলা উত্তর দিনাজপুরেও। এই জেলায় প্রায় এক লক্ষ পড়ুয়া মিড ডে মিলের আওতাভুক্ত। তাদের পাতে সপ্তাহে তিন দিন ডিম পড়তো। কিন্তু জেলার তিনশোরও বেশি স্কুল কর্তৃপক্ষ আপাতত খাদ্যতালিকা থেকে ডিম বাদ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সে কথা তাঁরা জানিয়েছেন প্রশাসনকেও। জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক মৃণ্ময় ঘোষ ও নারায়ণ সরকার বলেন, ‘‘ভেজাল ডিম নিয়ে কোনও স্কুল কর্তৃপক্ষের যদি সংশয় থাকে এবং সে জন্য তাঁরা যদি মিড ডে মিল থেকে ডিম বাদ দেন, তা হলে আমাদের কিছু করার নেই।’’ জেলাশাসক আয়েশা রানি বলেন, ‘‘খুব শীঘ্রই জেলা স্বাস্থ্য দফতর জেলার নয়টি ব্লকের বিভিন্ন বাজার থেকে ডিমের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করা হবে।’’

রায়গঞ্জের করোনেশন হাইস্কুল ও ইটাহারের বানবোল হাইস্কুলের দুই প্রধান শিক্ষক শুভেন্দু মুখোপাধ্যায় ও বিপুল মৈত্রের দাবি, ‘‘শিক্ষকদের পক্ষে ভেজাল ডিম চেনা সম্ভব নয়। পড়ুয়ারাও ভেজাল ডিমের আতঙ্কে ভুগছে। এখন যদি ভাল ডিম খেয়েও কেউ অসুস্থ হয়, তা হলে দায় তো আমাদের ঘাড়েই এসে পড়বে!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Plastic EGG
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE