শিক্ষামূলক: নবম শ্রেণির পড়ুয়ারা কোচবিহারে। —নিজস্ব চিত্র
দলবেঁধে কোনও স্কুলের পড়ুয়ারা যাচ্ছে ইতিহাস বিজড়িত স্থানে। কোনও স্কুলের শিক্ষকেরা আবার জীবজগত চেনাতে মিনি জু-তে পড়ুয়াদের নিয়ে হাজির। কোনও স্কুলের পরিকল্পনায় ঠাঁই পেয়েছে বনাঞ্চল বা কাছের পাহাড়ি এলাকা। চেনা শীতকালীন পিকনিকের ছবি এ নয়। গ্রীষ্মের শিক্ষামূলক ভ্রমণ। সৌজন্যে কোচবিহার জেলা রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা অভিযান প্রকল্প।
ওই দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, জেলার ২৪০টি হাইস্কুলের ৪৮০০ জন পড়ুয়ার জন্য প্রকল্পে আর্থিক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেই টাকাতেই জেলার স্কুল পড়ুয়াদের পছন্দের নানা জায়গা ঘুরে দেখানো হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা অভিযান প্রকল্প দফতরের কোচবিহারের আধিকারিক মহাদেব শৈব বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী মে মাসের মধ্যে সব স্কুলকে পড়ুয়াদের নিয়ে শিক্ষামূলক ভ্রমণের কাজ সম্পূর্ণ করতে বলেছি।”
দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই প্রকল্পে সুযোগ পাবে নবম শ্রেণির পড়ুয়ারা। প্রতিটি স্কুলের সর্বাধিক ২০ জন ছাত্রছাত্রীর জন্য আর্থিক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মাথাপিছু বরাদ্দ হয়েছে ২০০ টাকা। মেধাবী পড়ুয়াদের শিক্ষামূলক ভ্রমণের অগ্রাধিকারের বিষয়টিও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোচবিহারের সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “সমাজ, সংস্কৃতি, স্থানীয় ঐতিহ্যের সঙ্গে পড়ুয়াদের হাতে কলমে শিক্ষার মেলবন্ধন করতে ওই উদ্যোগ সহায়ক হবে।”
এমন সুযোগ পেয়ে খুশি পড়ুয়ারাও। ইতিমধ্যে তুফানগঞ্জের মুগাভোগ হাইস্কুলের পড়ুয়ারা হইহই করে দিনহাটার গোসানিমারি এলাকা ঘুরে দেখেছে। সেখানকার রাজপাট, পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের খননে উঠে আসা ইটের কুয়ো, স্থাপত্য থেকে নানা পুরাকীর্তি ঘুরে দেখানো হয়। অজানা ইতিহাস চোখের সামনে দেখে
খুশি পড়ুয়ারা। অন্য দিকে বক্সিরহাট গার্লস হাইস্কুলের তরফে ছাত্রীদের নিয়ে যাওয়া হয় রসিকবিলে। সেখানকার বিশাল জলাশয়, গাছগাছালি, চিতাবাঘ, হরিণ, ঘড়িয়ালের মতো বইয়ের পাতার জীবজগতের নানা উদ্ভিদ ও প্রাণী চোখের সামনে ‘জীবন্ত’ দেখে খুশি তারাও। বক্সিরহাট গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নমিতা সাহা বলেন, “শিক্ষামূলক ভ্রমণের উদ্যোগে ছাত্রীরা উপকৃত হবে।” নাটাবাড়ি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক রঞ্জিত সেনও জানান, রাজাভাতখাওয়ায় স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে যাওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy