জখম: চিকিৎসাধীন। নিজস্ব চিত্র
৩৯ শতকের আমবাগান কার দখলে থাকবে। তা নিয়ে বিবাদের জেরে তিন ভাইকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল খুড়তুতো ভাইদের বিরুদ্ধে। মালদহের পুখুরিয়ার গৌরীপুরে শনিবার সকালের ঘটনা।
স্থানীয়রাই আহত তিন জনকে উদ্ধার করে আড়াইডাঙা হাসপাতালে ভর্তি করান। দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
রক্তাক্ত তিন ভাইকে বাসিন্দারাই আমবাগান থেকে উদ্ধার করে আড়াইডাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করান। দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে তাদের মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তরা পলাতক। অভিযুক্তদের একজনও মারধরে আহত হয়েছেন বলে দাবি।
পুখুরিয়ার ওসি অভিষেক তালুকদার বলেন, ‘‘শীঘ্রই অভিযুক্তদের ধরা হবে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩৯ শতকের ওই আমবাগান ঘিরে রাম ঘোষের সঙ্গে তাঁর খুড়তুতো ভাই নিমাই ঘোষের দীর্ঘ দিনের বিবাদ। বাগানটি নিমাই ঘোষের দখলে থাকলেও তার কোনও রেকর্ড নেই। এ দিকে রাম ঘোষের দাবি ওই বাগান তাদের। এই মরসুমে বাগানের আম এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেন রাম ঘোষ। এ দিন রামবাবুকে নিয়ে বাগানে আম পাড়তে যান ওই ব্যবসায়ী। ওই সময় প্রাথমিক শিক্ষক নিমাইবাবু ও তাঁর দুই ভাই প্রাণেন্দ্র ও জ্ঞানেন্দ্র তাতে বাধা দিতেই বিবাদ বাধে। তখনই আচমকা রাম ঘোষকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপানো হয়। ঘটনার কথা জেনে রাম ঘোষের দুই ভাই ভোদল ও অতুল ঘোষ ছুটে আসলে তাঁদেরও হাঁসুয়া দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। এদের মধ্যে রাম ও ভোদল ঘোষের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আহত অতুলের অবশ্য দাবি, ‘‘ওই বাগান আমাদের। ওরা জোর করে দখল করে রেখেছে।’’
যদিও অভিযুক্তদের বাবা জ্যোতিষ ঘোষের দাবি, ‘‘বাগান আমাদের। আম পাড়তে বাধা দেওয়ায় ওরাই প্রথমে আমার ছেলেদের উপরে চড়াও হয়। পুলিশের ভয়ে ওরা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy