Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

প্রশাসনের খোঁজ শুরু হতেই হোম ফাঁকা

প্রশাসন খোঁজখবর শুরু করতেই বেপাত্তা হোম পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কর্তা ব্যক্তিরা। খোঁজ নেই হোমের ১৫ আবাসিকেরও!

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৫০
Share: Save:

প্রশাসন খোঁজখবর শুরু করতেই বেপাত্তা হোম পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কর্তা ব্যক্তিরা। খোঁজ নেই হোমের ১৫ আবাসিকেরও!

দার্জিলিঙের সুখিয়াপোখরির একটি হোমে গত জানুয়ারি মাস থেকে দু’দফায় পরিদর্শন চালায় জেলা প্রশাসন। সে সময় হোমে ২১ জন আবাসিকও ছিল। হোমের লাইসেন্স সংক্রান্ত নথিও চেয়ে পাঠানো হয়। এর পর গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রশাসনের আর একটি দল হোমে গেলে পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কোনও পদাধিকারীকে পায়নি। হোমে খোঁজ মিলেছিল মাত্র ৩ আবাসিকের। বাকিরা কোথায় গেল, তার খোঁজ চালানো হচ্ছে বলে দার্জিলিঙের জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন। সে দিনই হোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করেছে প্রশাসন।

ওই হোমে কিশোর-কিশোরী সকলকেই রাখা হতো। সম্প্রতি হোমে এক অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী রয়েছে বলে জানতে পারে প্রশাসন। তার পরেই খোঁজখবর শুরু হয়। জলপাইগুড়ির শিশু পাচার চক্রের সঙ্গে হোমের কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, যে সংস্থা হোম চালাত, তাদের নেপালে একটি অফিস রয়েছে। আবাসিকদের সেখানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সুখিয়াপোখরিতে হোমটির খোঁজ পেয়ে সংশয় তৈরি হয় প্রশাসনের অন্দরে। লাইসেন্সপ্রাপ্ত হোমের তালিকায় ওই হোমটির নাম ছিল না। প্রশাসনের দাবি, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় একাধিক সংস্থা হোমের লাইসেন্স দেয়। সেই লাইসেন্স ছাড়াও হোম চালাতে জেলা প্রশাসনের অনুমতিরও প্রয়োজন হয়। সেই অনুমতি না থাকাতেই খোঁজখবর শুরু করতে থাকে প্রশাসন। প্রশাসনের এক আধিকারিকের বক্তব্য, ‘আবাসিকরা কোথায়, তার খোঁজ চলছে। সব সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

বিধি অনুযায়ী হোমে কিশোর ও কিশোরীদের একসঙ্গে রাখার নিয়ম নেই। যদিও সুখিয়াপোখরির হোমে তাই চলেছে দিনের পর দিন। হোমে থাকা অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীকে প্রথম বারের পরিদর্শনেই অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় হোমে আনা হয়েছিল, নাকি হোমে আসার পরে হয়েছে তাও খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। তবে আপাতত হোমের বাকি আবাসিকরা কোথায় রয়েছে তার খোঁজ চলছে। হোম পরিচালনার দায়িত্বে থাকা এক মহিলা সহ অন্যদের খোঁজ নেই। তাঁদের খুঁজতে নেপাল পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sukhiapokhri Child Trafficking
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE